নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মোহনবাগান তাঁবুর প্রধান গেটের সামনেটা এখন যেন বন্ধ কারখানার মতো! বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভে প্রতিদিনই উত্তাল হচ্ছে শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাব-তাঁবুর সামনের অঞ্চল।
এত দিন ধরে ক্লাব-তাঁবুর সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন যাঁরা— তাদের দাবি ছিল, ক্লাবকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেওয়া কর্তাদের পদত্যাগ। এ দিন তাঁর পাল্টা নামলেন কর্তাদের ঘনিষ্ঠ লোকজন। তাঁরা অবশ্য এসেছিলেন ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে। ডার্বি ম্যাচে বিরতিতি দল তুলে নেওয়া কর্তাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাতে। প্রায় তিন-চারশো সমর্থকের অনেকেরই হাতে ছিল নানা পোস্টার-ব্যানার। তবে এ দিন ক্লাব তাঁবুর গেটে কোনও পুলিশকে দেখা যায়নি। এই বিক্ষোভের মধ্যেই অবশ্য ফেডারেশনের বিরুদ্ধে করা নগর দেওয়ানি আদালতের মামলা তুলে নিল মোহনবাগান। বিদেশ থেকে শহরে ফেরা প্রেসিডেন্ট টুটু বসুও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন। বলে দিলেন, “১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। দেখুন না আমরা চেষ্টা করে কী করতে পারি। ক্লাবের অনেক সমস্যার তো সমাধান করেছি। আমি তো দিল্লি যাব। দেখি কী হয়।” এরই মধ্যে ফুটবলারদের আবেদন জমা পড়ল ফেডারেশনের কাছে। টোলগে-নবিরা লিখলেন, “আমাদের পা থেকে ফুটবল কেড়ে নেবেন না।”
মোহনবাগানের শাস্তি নিয়ে যখন নানা জল্পনা উড়ছে, তেমনই ওডাফা কত দিন মাঠের বাইরে থাকবেন তা নিয়েও নানা অলোচনা চলছে ময়দানে। ওডাফার পাঠানো শো-কজের চিঠি সোমবারই হাতে পেয়েছেন ফেডারেশন কর্তারা। এ দিনই ছিল নাইজিরিয়ান গোলমেশিনের জবাব দেওয়ার শেষ দিন। দিল্লি থেকে ফোনে ফেডারেশন সচিব কুশল দাস বললেন, “ওডাফার চিঠি পেয়েছি। সেটা কমিটির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওরা হয়তো সেটা পাঠিয়ে দেবে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে।” কিন্তু মোহনবাগান আই লিগ না খেলায় এমনিতেই খেলতে পারছেন না ওডাফা। তা হলে তাঁর শাস্তি কী হবে? কুশলবাবু বললেন, “শাস্তি হলে অন্য টুর্নামেন্টগুলোর কোনও ম্যাচই হয়তো ওডাফা খেলতে পারবে না।” |