|
|
|
|
ফের রাষ্ট্রপতি শাসনের ছায়া ঝাড়খণ্ডে |
সমর্থন তুললেন শিবু, বিজেপি জোট সংখ্যালঘু |
প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও রাজ্যপালের কাছে সেই মর্মে আজই কোনও চিঠি পাঠাল না ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)। জেএমএম প্রধান শিবু সোরেন জানিয়েছেন, আগামী কাল, মঙ্গলবার তাঁরা রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এই প্রক্রিয়া সারবেন। যদিও রাতের খবর, জেএমএম-বিজেপি, দুই দলের নেতারাই এখনও একটা সম্মানজনক মীমাংসা সূত্র খুঁজতে ব্যস্ত।
রাজ্যে বিজেপি-জেএমএম-আজসু-জেডিইউ জোট সরকার গঠিত হয় ২০১০-এর সেপ্টেম্বর। ১০ তারিখ তার ২৮ মাস পূর্ণ হচ্ছে। এই বিধানসভার মেয়াদ আর ২৮ মাস। বিজেপি-র মতোই সমপরিমাণ বিধায়ক (১৮) নিয়ে জেএমএম এ বার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি চায়। জেএমএমের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে বিজেপি-র অর্জুন মুন্ডা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ২৮ মাস পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ জেএমএম-কে ছেড়ে দেবেন। অর্জুন সে কথা গত বৃহস্পতিবারই খারিজ করে দেন। এতেই ফের অস্থিরতা শুরু হয়। দফায় দফায় বৈঠকে বসে জেএমএম নেতৃত্ব। সরকার ভেঙে বেরিয়ে আসায় আপত্তি তোলে জেএমএম বিধায়কদের একাংশ। শেষ পর্যন্ত শিবু সোরেনের উপস্থিতিতে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের পর সোমবার সন্ধ্যায় সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। শিবু সাংবাদিকদের বলেন, “আর কোনও আলোচনার জায়গা নেই। সমর্থন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে।”
জেএমএম যে সমর্থন তুলে নেওয়ার পথেই হাঁটছে, তার ইঙ্গিত মিলেছিল রবিবার। দলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য শিবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে বলেন, “অপেক্ষা করুন, সোমবার বড় সিদ্ধান্ত হতে পারে।” এর পরেই বিজেপি নেতৃত্ব সরকার টিকিয়ে রাখতে আসরে নামেন। রবিবার রাতেই সোরেনের বাড়িতে যান বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দীনেশানন্দ গোস্বামী এবং বিধায়ক তথা শিক্ষামন্ত্রী বৈদ্যনাথ রাম। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও লাভ হয়নি। আজ দুপুরে দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডাকে পাঠানো হয় শিবু সোরেনের বাড়িতে। অর্জুুন তাঁর একদা রাজনৈতিক গুরু শিবুর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেখানে নিতিন গডকড়ীর সঙ্গে হেমন্তর কথাও বলিয়ে দেন নিজের মোবাইলে। সন্ধ্যায় বিজেপি নেতারা ফের যাচ্ছিলেন শিবুর বাড়িতে। শিবু এর মধ্যেই সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা করে দেন। মাঝ পথ থেকে ফিরে যান বিজেপি নেতারা।
রাতের দিকে বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতারা। সরকারে টিকে থাকতে জেএমএমের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও শুরু করেন তাঁরা। জেএমএম-এর একাংশ-ও রাতের মধ্যেই সমাধানসূত্র খুঁজতে মরিয়া। এমনকী অর্জুন মুন্ডাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিলে ফের ভেবে দেখা যেতে পারে বলেও জেএমএমের তরফে বিজেপি নেতৃত্বকে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
জেএমএমের সম্ভাব্য শরিক হিসেবে উঠে আসছে কংগ্রেসের নাম। জেএমএমের সঙ্গে জোট বেঁধে ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়তে তাঁরা যে আগ্রহী, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ বালমুচু। তিনি বলেন, “কেন্দ্রে জেএমএম আমাদের সঙ্গে রয়েছে। রাজ্যে যে কারণেই হোক, আমরা আলাদা। আশা করি সেই বিভেদ কেটে যাবে।” |
|
|
|
|
|