নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
চায়ের দোকানে চোলাই মদ বিক্রি হয়। এই অভিযোগে ওই দোকানে হানা দিতে গিয়ে দোকানদার ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের হাতে আক্রান্ত হলেন বোলপুর থানার এক পুলিশকর্মী। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশ ভ্যানেও। জখম ওই পুলিশকর্মীকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর থানা এলাকার সুরুল বাগদি পাড়ায়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোলপুরের এসডিপিও প্রশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, “ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দান, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট এবং সরকারি কর্মীকে জখম করার আভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনায় যুক্ত আরও ছয় জনের খোঁজ চলছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বোলপুর থানার আওতাধীন সুরুল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই চন্দন পাল মদ বিক্রির অভিযোগ পেয়ে বাগদি পাডায় ওই চায়ের দোকানে হানা দিয়েছিলেন। পুলিশের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার আগেই ওই পুলিশকর্মীর উপর চড়াও হন দোকানদার ডালিম বাগদি ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা। ওই সময় স্থানীয় কিছু যুবক পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। তাতেই জখম হন চন্দনবাবু।
খবর পেয়ে বোলপুর থানার আইসি কমল বৈরাগ্য এবং শান্তিনিকেতন তদন্ত কেন্দ্রের আইসি পার্থসারথি মণ্ডল আরও পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং আক্রান্ত পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করেন। এর পরেই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ধৃতদের সোমবার বোলপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। সরকারি আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল বলেন, “ধৃতদের ১৪ দিন জেলহাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বোলপুরের এসিজেএম পীযূষ ঘোষ।” |