চার নাবালিকাকে ধর্ষণের
অভিযোগে গ্রেফতার দোকানি


চার নাবালিকাকে কেক-বিস্কুট খাওয়ানোর নাম করে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল এক মুদির দোকানির বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার নামোপাড়ার ঘটনা। বৃহস্পতিবারের ঘটনা হলেও তা জানাজানি হয় শনিবার রাতে। উত্তেজিত জনতা রবিলোচন দে নামে ওই দোকানির বাড়িতে চড়াও হতে যায়। বেগতিক বুঝে প্রথমে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। পুলিশের হস্তক্ষেপে জনরোষের হাত থেকে রক্ষা পায় অভিযুক্তের পরিবার।
যদিও শনিবার রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে রবিলোচনকে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে তাদের কাছে অপরাধ কবুল করেছেন ওই দোকানি। রবিবার অভিযুক্তকে ১৪ দিন জেল হফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বাঁকুড়ার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। শনিবার রাতে ওই চার নাবালিকার প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছিল বেলিয়াতোড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। জেলার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “এ দিন বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই চার জনের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। সোমবার রিপোর্ট পাব।” আজ, সোমবার বাঁকুড়া মেডিক্যালে ধৃতের ডাক্তারি পরীক্ষা হবে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, পরীক্ষায় দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বাকি দু’জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
ওই চার নাবালিকার মধ্যে এক জন দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া। বাকিরা সদ্য পঞ্চম শ্রেণিতে উঠেছে। তারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা পড়তে যাচ্ছিল। রবিলোচন কেক ও বিস্কুট দেবে বলে লোভ দেখিয়ে তাদের বাড়িতে ডাকে। এক নাবালিকার কথায়, “আমরা বাড়িতে ঢুকতেই লোকটা দরজা বন্ধ করে দেয়। আমরা বলি, দরজা কেন বন্ধ করলে। লোকটা বলল, কেন বন্ধ করেছি এখনই বুঝতে পারবি।” তাদের অভিযোগ, “আমাদের জোর করে বিছানায় শুইয়ে জামা-কাপড় খুলতে বলে। রাজি না হওয়ায় লোকটা আমাদের সঙ্গে নোংরামি করে।” আমরা কয়েক জন চিৎকার করেছিলাম। কিন্তু কেউ শুনতে পায়নি। চেঁচালে এখানেই মেরে ফেলবে বলে লোকটা হুমকি দেয়।” তাদের দাবি, রবিলোচন ঘটনার কথা বাড়িতে না জানানোর শাসানিও দেন।
নাবালিকাদের পরিবারের লোকেরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মেয়েদের চলাফেরা স্বাভাবিক ছিল না। শনিবার দ্বিতীয় শ্রেণির মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাড়ির লোকেদের সন্দেহ হয়। পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবার কথায়, “ওই মেয়েটির বাড়ির লোক ঘটনার কথা জানতে পেরেই আমাদের বলেন। আমরাও আমাদের মেয়েদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। ওরা সব বলে।” রবিলোচনের বাড়িতে স্ত্রী, এক মেয়ে এবং এক মূক-বধির ছেলে আছেন। পাড়ার লোকেদের সঙ্গে ওই পরিবারের বিশেষ মেলামেশা নেই। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে বাড়িতে ছিলেন না। তাঁরা ফেরেন শনিবার। সে দিনই এলাকায় খবর চাউর হয়। এলাকার লোকজন রবিলোচনের বাড়ির সামনে ভিড় করে। বেলিয়াতোড় থানার ওসি শ্যামাপদ মাশান্ত বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামলান। শনিবার রাতেই চার নাবালিকার পরিবার থানায় অভিযোগ করে। জনরোষের ভয়ে ধৃতের স্ত্রী ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.