পথ চিত্র প্রদর্শনী। —নিজস্ব চিত্র। |
‘তখন কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি।’ লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ঠিক তাই। বীরভূম জেলা স্কুলের অঙ্কন বিভাগের শিক্ষক সুবীর বন্দোপাধ্যায় আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন দীর্ঘ নয় বছর আগে। কিন্তু প্রতি বছর ঠিক তাঁর উপস্থিতির টের মেলে ডিসেম্বর মাসে। তখনই তো জেলা স্কুলের বাইরের দেওয়ালে চলে পথচিত্র প্রদর্শনী! সেই ১৯৭৫ সালে তিনি নিজের ও তাঁর ছাত্রদের আঁকা ছবি নিয়ে ওই প্রদর্শনী শুরু করেছিলেন। সেই ধারা এখনও বাঁচিয়ে রেখেছেন তাঁর ছাত্র ও বর্তমান তরুণ প্রজন্মের ছবিপ্রেমিকেরা। তাঁদের ও সুবীরবাবুর আঁকা শতাধিক ছবি নিয়ে এ বারের প্রদর্শনী হয়ে গেল গত ৩০-৩১ ডিসেম্বর। ছবির সঙ্গে বাড়তি ছিল রবীন্দ্রসঙ্গীতের আবহ। পরিমিত আওয়াজে বেজে ওঠা ‘ভরা থাক স্মৃতি সুধায়’ বা ‘আমার জীবনপাত্র উছলিয়া’ টানছিল অনেককেই। |
প্রবাহ নাট্যমের ছেদবিন্দু নাটকের একটি দৃশ্য। নিজস্ব চিত্র। |
রামপুরহাটের ‘প্রবাহ নাট্যম’ আয়োজিত তিন দিনের নাট্যমেলা হয়ে গেল স্থানীয় রক্তকরবী পুরমঞ্চে। গত ২৮-৩০ ডিসেম্বর ওই নাট্যমেলায় কলকাতা, চন্দননগর ও নদিয়ার তিনটি নাট্য সংস্থা নাটক মঞ্চস্থ করে। এ ছাড়াও আয়োজক সংস্থার একটি শিশুনাটক, একটি বড়দের অভিনীত নাটক ও রামপুরহাট হাইস্কুলের শিক্ষকদের নাটকও মঞ্চস্থ হয়। প্রবাহ নাট্যমের কর্ণধার প্রিয়ব্রত প্রামাণিকের লেখা নির্দেশনায় ‘ছেদবিন্দু’, নাটকটিতে মূলত সামাজিক দায়বদ্ধতার দিক তুলে ধরা হয়েছে। রামপুরহাট হাইস্কুলের শিক্ষকেরা সহকর্মী অপূর্ব দাসের নির্দেশনায় মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের ‘গুহাচিত্র’ নাটকটির অভিনয় করেন। জীবনে প্রথম মঞ্চে নামা প্রবীণ শিক্ষক অনিল সাহা-র অভিনয় দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছে। প্রতিটি নাটকের পর দর্শকদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন নাটকের কুশীলবেরা। |
সুকুমার রায়ের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গত শুক্রবার একটি অনুষ্ঠান হয়ে গেল রামপুরহাট কলেজের সেমিনার হলে। অনুষ্ঠানে সুকুমার রায়ের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে একটি আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন শিশু সাহিত্যিক ও গবেষক পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেন হেতমপুর কলেজের অধ্যাপক আশিস চক্রবর্তী। |
গত ২৯-৩০ ডিসেম্বর আমোদপুরে স্থানীয় স্পোর্টস্ কমপ্লেক্স ও ময়ূরেশ্বরে ‘সারা বাংলা লোকশিল্পী সংসদ’ আয়োজিত লোক সংস্কৃতি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু’টি অনুষ্ঠানেই বাউল, রাইবিশে, কবিগান, লোকনৃত্য প্রভৃতি পরিবেশিত হয়েছে। আমোদপুরের অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ছিল নেহরু যুব কেন্দ্র। |
গত ১ জানুয়ারি রামপুরহাটের ‘সুর ও তরঙ্গ’ সঙ্গীত সংস্থার ১৫ বছর পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠিত হল স্থানীয় রেলমঞ্চে। উৎসেব নানা সঙ্গীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। |
ছাত্র-যুব উৎসবে আদিবাসী নৃত্য। |
• ২-৩ জানুয়ারি পুরুলিয়া জেলা যুব আবাসে হয়েছে জেলা বিবেক ছাত্র-যুব উৎসব। রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুলগীতি, হারমোনিয়ম, বাঁশি, সমবেত সঙ্গীত, বিশ্বসংবাদ পাঠ, নাটক, আদিবাসী নৃত্য-সহ মোট ২৫টি বিভাগে জেলার ২০টি ব্লক ও ৩টি পুর-এলাকা থেকে ৪০০ প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন জেলা যুব আধিকারিক অমিয়কুমার দাস। উৎসবের উদ্বোধন করেছিলেন জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি।
|
• লগ্নঊষা সাহিত্যগোষ্ঠী রবিবার সোনামুখী বিধানচন্দ্র হাইস্কুলে একটি সাহিত্যসভার আয়োজন করেছিল। কবিতা ও গল্প পাঠ ছাড়াও, ছিল সাহিত্য নিয়ে আলোচনা। স্থানীয় এবং বহিরাগত কবি-লেখকরা এতে যোগ দিয়েছিলেন।
• সম্প্রতি বাঁকুড়ার জয়পুরের কুচিয়াকোল রাধাবল্লভ ইন্সস্টিটিউশনের দেড়শো বছর পূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয়ে গেল। ছিল সংগীত শিল্পী হৈমন্তী শুক্লর সঙ্গীতানুষ্ঠান, কলকাতার সুবিখ্যাত যাত্রাদলের যাত্রাপালা।
|
• সারদাদেবীর ১৬০তম জন্মতিথি উপলক্ষে গত ৪ জানুয়ারি দিন ভর নানা অনুষ্ঠান হয়েছে পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠে। সারদাদেবীর জীবনী নিয়ে থেকে পাঠ ও আলোচনা করেন বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মপ্রভানন্দ। বিদ্যাপীঠের ছাত্ররা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। |
• স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধ শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠান হল ইঁদপুরে। গত ৩১ ডিসেম্বর এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল কালীমাতা ইঁদপুর ইয়াংস কর্ণার। নাচ, গান, বসে আঁকো-সহ নানা প্রতিযোগিতা ছাড়াও স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী ও কর্মজীবন সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।
• বড়জোড়ার মুক্তাতোর গ্রামের ‘শ্রীরামকৃষ্ণ পাঠচক্রে’র উদ্যোগে গত মঙ্গলবার কল্পতরু উৎসব পালিত হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের ভক্তরা সকালে গ্রাম প্ররিক্রমা করেন। ভজন, কথামৃত পাঠ-সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই দিনটিতে পালন করা হয়। ওই দিন বিকেলে একটি ধর্মসভাও হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী নিরন্তরানন্দ।
• রবিবার বার্ষিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল রঘুনাথপুর ক্ষুদিরাম স্মৃতি বিদ্যাপীঠে। আবৃত্তি, সঙ্গীত ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিদ্যাপীঠের সফল পড়ুয়াদের পুরস্কৃত করা হয়। |