মেলার টুকরো খবর |
জেলা বইমেলার উদ্বোধন তমলুকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
|
উদ্বোধনে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র। |
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বইমেলা শুরু হল তমলুক রাখাল মেমোরিয়াল ময়দানে। শনিবার বিকেলে মেলার উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন কাঁথির সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা, সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দেবব্রত মণ্ডল, জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি, তমলুকের পুরপ্রধান দেবিকা মাইতি, শিশু সাহিত্যিক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় ও পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি শুধাংশু দে। শনিবার বইমেলা উপলক্ষে তমলুক রাজ ময়দান থেকে বইমেলা প্রাঙ্গণ মিছিল করে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। বইমেলা কমিটির সম্পাদক তথা জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক তুষারকান্তি চট্টোপাধ্যায় জানান, এই বছর তমলুক বইমেলা আট বছরে পা দিল। মেলায় প্রতি দিন আলোচনাসভা, কবি সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকছে। কলকাতা ও জেলার মোট ৬৪টি প্রকাশনা সংস্থা ও বিক্রেতার স্টল রয়েছে মেলাতে। প্রতি দিন দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বইমেলা। চলবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শীর্ষেন্দুবাবু বলেন, “বই পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ আগের চেয়ে বেড়েছে। বহু বই প্রকাশিত হচ্ছে। বই মেলায় ভিড় থেকেই তার প্রমাণ মেলে।”
|
লিটল ম্যাগ মেলা শেষ হল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শেষ হল মেদিনীপুর লিটল ম্যাগাজিন মেলা। রবিবার সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয়। শেষ দিনে উদ্যোক্তারা জানালেন, পরের বছর এই মেলা হবে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে, ৩ থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। শুক্রবার থেকে মেদিনীপুর শহরের জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছিল মেদিনীপুর লিটল ম্যাগাজিন মেলা। এ বার ছিল পঞ্চম বর্ষ। বিগত চার বছরেও পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর শহরেই মেলার আয়োজন হয়েছে। এ বার মেলার উদ্বোধন করেছিলেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। সাহিত্যচর্চার জন্য তাঁকে বিশেষ সম্মানও জানানো হয়। কবিতা-গল্পপাঠ-আলোচনার পাশাপাশি ছিল শিশুদের জন্য বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। প্রবীণ শিল্পীরা খোলা ক্যানভাসে ছবি আঁকেন। মেলার উদ্যোক্তা মেদিনীপুর লিটল ম্যাগাজিন আকাদেমির পক্ষ থেকে সম্মান জানানো হয় প্রাবন্ধিক অনুত্তম ভট্টাচার্য, কবি আশিস মিশ্র ও নারায়ণ সামাটকে। মেলার মঞ্চে প্রায় চল্লিশটি বই এবং তিরিশটি পত্রিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে উদ্যোক্তারা জানান। প্রকাশিত হয়েছে আমন্ত্রিত কবিদের কবিতা নিয়ে স্মারক গ্রন্থ। উদ্যোক্তাদের পক্ষে প্রসূনকুমার পড়িয়া ও অখিলেশ সুর জানান, এ বার থেকে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই জেলাতেই লিটল ম্যাগাজিন মেলা হবে। আগামী বছর তমলুক শহরে মেলার আয়োজন করা হবে। এক বছর পূর্ব মেদিনীপুরে, পরের বছর পশ্চিম মেদিনীপুরে, এ ভাবেই মেলা চলবে।
|
লোক সংস্কৃতি উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
|
লোকসংস্কৃতি উৎসবে রবীন্দ্রনাথের নটীর পূজা।
রবিবার ঝাড়গ্রামের দেবেন্দ্রমোহন মঞ্চে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
দু’দিন ধরে ঝাড়গ্রামে ‘সপ্তম বর্ষ লোক সংস্কৃতি উৎসব’ অনুষ্ঠিত হল। উদ্যোক্তা, ‘ঝাড়গ্রাম আর্ট অ্যান্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাকশন’। শনিবার কেকেআই সভাঘরে ঝুমুরগান, টুসুগান ও পাঁতা নাচের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় দেড়শো প্রতিযোগী।
রবিবার শহরের দেবেন্দ্রমোহন মঞ্চে ‘ঝুমুর ও টুসুর সেকাল-একাল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় দেবেন্দ্রমোহন মঞ্চে মঞ্চস্থ হয় রবীন্দ্রনাথের নাটক ‘ডাকঘর’ ও নৃত্যনাট্য ‘নটীর পূজা’। উদ্যোক্তাদের পক্ষে বিশিষ্ট ঝুমুর গায়িকা ইন্দ্রাণী মাহাতো বলেন, “লোকসংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।”
|
বিনপুরে যুব মেলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিনপুর |
স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম-সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে রবিবার বিনপুরে হয়ে গেল যুব মেলা। এ দিন বিকেলে বিনপুর পল্লি ক্লাব ও কুই নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলার উদ্বোধন করেন নেহেরু যুব কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটর নন্দিতা ভট্টাচার্য। তিরন্দাজি, ম্যারাথন দৌড়, বিবেকানন্দ বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা প্রতিযোগিতায় যোগ দেন ৫০ জন। সন্ধেয় এলাকার কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দুঃস্থদের কম্বল ও বস্ত্রদান করা হয়। পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। |
|
কেটিপি মেলার উদ্বোধনী শোভাযাত্রা |
|
লোকসংস্কৃতি উৎসব
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
শুরু হল জাড়া পরিবার জনকল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে ৭ দিনের লোকসংস্কৃতি উৎসব ও মেলা। রবিবার জাড়া স্কুল মাঠে উৎসবের উদ্বোধন করেন বিষ্ণুপুর আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী ইষ্টানন্দ। ছিলেন অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়, মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী, রোহিনীনাথ মঙ্গল-সহ বিশিষ্টরা। মেলা কমিটির সম্পাদক রাজীব বাগ জানান, প্রতি দিনই থাকছে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠান।
|
পুষ্প প্রদর্শনী, মেলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
|
ঘাটালে পুষ্প প্রদর্শনী ও মেলা। —নিজস্ব চিত্র। |
শুরু হল চার দিনের পত্র-পুষ্প প্রদর্শনী ও মেলা। ঘাটাল অগ্রণী ক্লাবের সহযোগিতায় শনিবার মহকুমা পুষ্পপ্রেমী সমিতির উদ্যোগে শহরের প্রসন্নকুমার স্মৃতি মহিলা ও শিশু উদ্যানে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন স্বামী একব্রতানন্দ। উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান জগন্নাথ গোস্বামী, বিডিও দেবব্রত রায় প্রমুখ। পত্র-পুষ্প প্রদর্শনীতে রয়েছে ৭০০ রকম প্রজাতির ফুল, ফল এবং নানা ভেষজ গাছ। উদ্যোক্তাদের পক্ষে শৈবাল হোড়, প্রদীপ বেরা বলেন, “ফুল ও ভেষজ গাছের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতেই এই উদ্যোগ।” মেলায় প্রতি দিনই থাকছে নানা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও সেমিনার।
|
শেষ হয়ে গেল দেশপ্রাণ মেলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
দেশপ্রাণের জন্মভিটেতে রবিবার শেষ হল দেশপ্রাণ মেলা। দেশপ্রাণ স্মৃতিরক্ষা কমিটির উদ্যোগে শুক্রবার মেলার উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন। তিনি বলেন, “ধ্বংসস্তূপে পরিণত দেশপ্রাণের জন্মভিটে সংরক্ষণের জন্য হেরিটেজ কমিশনের কাছে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাঁর জীবন ও আদর্শকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য ব্লকের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে দেশপ্রাণের মূর্তি প্রতিষ্ঠা, রাস্তার নামকরণ করা ছাড়াও সংগ্রহশালা করার চিন্তাভাবনাও চলছে।” উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তরুণ জানা প্রমুখ। উদ্যোক্তা তথা দেশপ্রাণ স্মৃতিরক্ষা কমিটির সম্পাদক ফুলকুমার বেরা বলেন, “মেলায় তিন দিন ধরে শতাধিক দুঃস্থ মানুষকে শীতবস্ত্র ও প্রতিবন্ধীদের হুইল দেওয়া ছাড়াও ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।” |
উৎসবের রং |
|
|
|
মেদিনীপুর শহরে শুরু হয়েছে লোক উৎসব। অনুষ্ঠানে যোগদান করেছে
বিভিন্ন রাজ্যের সাংস্কৃতিক দল। শহরের বিদ্যাসাগর হলের মাঠে ছবিগুলি
তুলেছেন কিংশুক আইচ ও সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
|
|