|
|
|
|
নীতিবাক্য ভাগবতের |
দিল্লি ধর্ষণে বিহারিদের দায়ী করে বিতর্কে রাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দিল্লি ধর্ষণ পরবর্তী নানা ঘটনায় নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্য অব্যাহত। এ বার সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা-র প্রধান রাজ ঠাকরেও। অবশ্য তিনি একা নন। শুক্রবারের পরে শনিবারে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত। এ বার বিয়ে-চুক্তি নিয়ে মুখ খুলে সঙ্ঘকে অস্বস্তিতে ফেললেন তিনি।
শনিবার সন্ধ্যায় গোরেগাঁও এলাকায় একটি সভায় বক্তৃতা করতে গিয়ে দিল্লি গণধর্ষণের প্রসঙ্গ তোলেন রাজ। তিনি বলেন, “আমার মন্তব্যের বিরোধিতায় সবাই সরব। কিন্তু ধর্ষকরা যে সকলেই বিহারি, এটা নিয়ে কেউই চিন্তিত নয়।” এর আগেও বিহারের বাসিন্দাদের নিয়ে নানা রকম কটূক্তি করে বিতর্কে জড়িয়েছেন রাজ ঠাকরে। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে সরব সব পক্ষ। বিজেপি তো রাজের দলের স্বীকতি কেড়ে নেওয়ার দাবিও তুলেছে। কংগ্রেস মুখপাত্র রশিদ আলভি বলেন, “এই বিভাজন সারা দেশের জন্যই ক্ষতিকর।” জেডিইউ-ও ঠাকরের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে। আলি আনোয়ার আনসারি বলেন, “এই রকম ভিত্তিহীন মন্তব্য করাই রাজ ঠাকরের স্বভাব।” আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবও রাজকে এক হাত নিয়েছেন।
এ দিনই সঙ্ঘের এক সভায় বিবাহ-চুক্তির ব্যাখ্যা দিয়ে বিতর্কে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। তাঁর বক্তব্য, বিবাহের চুক্তি অনুযায়ী স্বামীকে দেখভাল করতে স্ত্রী বাধ্য!
শনিবার ইনদওরে এক সভায় ভাগবত বলেন, “বিয়ে হল স্বামী ও স্ত্রী-র মধ্যে এমন একটি সামাজিক চুক্তি যেখানে স্বামীর বক্তব্য, তুমি আমার ঘর সামলাও, সুখ দাও। আমি তোমার ভরণপোষণের ব্যবস্থা করব, নিরাপত্তা দেব।” সেই সঙ্গেই তাঁর ব্যাখ্যা, “স্বামী তত দিনই এই চুক্তি মানেন, যত দিন স্ত্রী চুক্তির শর্তানুযায়ী চলেন। স্ত্রী শর্ত না মানলে স্বামী তাঁকে ত্যাগ করতে পারেন।”
শুক্রবারই ধর্ষণ নিয়ে বলতে গিয়ে গ্রামীণ ভারত ও শহুরে ভারতের মধ্যে ভেদরেখা টানায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ভাগবত। যা সামাল দিতে আসরে নামতে হয় সঙ্ঘ ও বিজেপি নেতৃত্বকে। তার মধ্যেই ফের এই মন্তব্য। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরএসএস মুখপাত্র রাম মাধব জানান, ভাগবতের মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি পাশ্চাত্যে সমাজের বিয়ে সম্বন্ধে ওই মন্তব্য করেছেন।
কিন্তু সমালোচনার ঝড়ে উড়ে যাচ্ছে তাঁর এই ব্যাখ্যা। সিপিএমের বৃন্দা কারাটের মন্তব্য, “অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ দলটা সঙ্ঘ। এরাই বিজেপি ক্ষমতায় থাকাকালীন মনুসংহিতার আদলে সংবিধান প্রণয়ন করতে চেয়েছিল!” |
|
|
|
|
|