|
|
|
|
শান্তি বৈঠক নিয়ে জঙ্গিদের দরাদরি ঠেকাতে চায় কেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পরে গারো জঙ্গি সমস্যা সমাধানে শান্তি চুক্তির খসড়া তৈরি হল। কিন্তু, এএনভিসি জঙ্গি সংগঠনের আলোচনাপন্থী এবং সংগ্রামপন্থীদের সঙ্গে বৈঠক সেরে কেন্দ্রীয় যুগ্ম স্বরাষ্ট্র সচিব শম্ভু সিংহ কড়া ভাষায় জানিয়ে দিলেন, শান্তি আলোচনার নামে জঙ্গি সংগঠনগুলির দর কষাকষির এই ধারা বন্ধ করা হবে। এ নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র।
মেঘালয়ের গারো পাহাড়ে রক্তপাত বন্ধ করতে গত কাল সন্ধ্যায় কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পরে খসড়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করে এএনভিসি জঙ্গি সংগঠনের শান্তিপন্থী ও সংগ্রামপন্থী উভয় গোষ্ঠীই। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পরেই চুক্তি চূড়ান্ত হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, বৃহত্তর গারোল্যান্ড ও গারো রাজ্যের দাবি ছাড়ল এএনভিসি। বদলে গারো পাহাড় স্বশাসিত পরিষদের হাতে দেওয়া হচ্ছে শহর ও সমাজ বিকাশ বিভাগ-সহ ১৩টি বিভাগের অতিরিক্ত ক্ষমতা। পরিষদের সদস্যসংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ করা হবে। এরমধ্যে ৩৫ জন নির্বাচিত বাকিরা মনোনীত হবেন। চূড়ান্ত চুক্তির পরেই এএনভিসির ৩১৮ জন ঘোষিত সদস্য আত্মসমর্পণ করে, তাদের হাতে থাকা সব অস্ত্র জমা দিয়ে দেবে। গারো পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য বিশেষ উন্নয়ন প্যাকেজ নেওয়া হচ্ছে। গারো পাহাড়ে যোগাযোগের উন্নতি এবং বিমান যোগাযোগের উপরে জোর দেবে কেন্দ্র-রাজ্য। রোংজেন, তিকরিকিলা, চোকপটকে সাব ডিভিশন বানানো হবে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কাছ থেকে পরিষদের হাতে সরাসরি টাকা আসবে। তহবিল দেখভালের দায়িত্ব রাজ্য ও পরিষদ যৌথভাবে নেবে। চুক্তি সইয়ের তিন মাসের মধ্যে এএনভিসি ভেঙে দেওয়া হবে। এক বছর পরে, পরিষদে নির্বাচন হবে।
এখনও, গারো পাহাড়ে নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে জিএনএলএ। চূড়ান্ত চুক্তির আগে, জিএনএলএকে রাজি করিয়ে তাদেরও চুক্তির অংশ করার চেষ্টা চালাচ্ছে এএনভিসি।
তবে, একের পর এক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালিয়ে কেন্দ্র বিরক্ত। এ দিন আলোচনার পরে শম্ভু সিংহ সাফ জানিয়ে দেন, বিভিন্ন দাবি নিয়ে দর কষাকষির দিন শেষ। আলোচনা নয়, আত্মসমর্পণ করতে হবে জঙ্গিদের। শিলংয়ে আলোচনা সেরে তিনি বলেন, “জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা চালানোর রীতি উঠিয়ে দিতে চলেছে কেন্দ্র। কারণ, প্রতিটি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা চালানোর পরে প্রতিবারই একটি করে ‘বিক্ষুব্ধ’ শাখার জন্ম হয়। তারা ফের নাশকতা চালাতে থাকে। আবার আলোচনায় বসতে হয়। এই চক্র আর চলতে দেওয়া হবে না। কেন্দ্র শীঘ্রই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।” |
|
|
|
|
|