|
|
|
|
ফার্স্ট লুক |
খালি গায়ে পাঁচ ডিগ্রিতে
প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত |
গয়াতে তখন এত ঠান্ডা যে তিনটে সোয়েটার আর একটা হনুমান টুপি পরেও সামলানো দায়। আর তারই মধ্যে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি শ্যুটিং করলেন তার কেরিয়ারের কঠিনতম চরিত্রটির জন্য।
ছবির নাম ‘মাউন্টেন ম্যান’। পরিচালক কেতন মেহতা। চরিত্রটির নাম দশরথ মাঝি। বিহারের গ্রামের এই মানুষটি একা হাতে বাইশ বছর ধরে পাহাড়ের মধ্য দিয়ে তিনশ মিটার একটা লম্বা রাস্তা বানান।
“দশরথ বস্তার তৈরি বুক খোলা জামা পরতেন। অভিনয় করতে গিয়ে আমাকেও তা পরতে হয়। পায়ে জুতো নেই। পাহাড় কাটার দৃশ্যে হাত-পা ছড়ে যায়। এই রকম কষ্টকর শ্যুটিং এর আগে কোনও দিন করিনি,” নওয়াজ বললেন। |

কেতন মেহতার ‘মাউন্টেন ম্যান’ ছবিতে নওয়াজউদ্দিন
|
মানসিক ভাবেও শ্যুটিংটা করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে নওয়াজকে। কারণ? “এক দিনে তিন চারটে নতুন লুকে শ্যুট করতে হত। কখনও কুড়ি বছরের দশরথ। তার পরের সিনেই হয়তো আবার বয়স বেড়ে ষাট। খুব কম সময়ের মধ্যে নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত হতে হত,” বলেন নওয়াজ। তবে সুবিধা হয়েছিল কেতন মেহতার মতো পরিচালক পাওয়ায়। “ওনার ভিস্যুয়াল সেন্সটা পরিণত। কী সুন্দর ভাবে সেটা উনি ছবির প্রয়োজনের সঙ্গে মিলিয়ে দেন। আমি অনেক শিখেছি,” বলেন অভিনেতা।
গয়ার শ্যুটিং-এর পরে, নওয়াজ যাচ্ছেন বেনারস। সেখানের পর্ব চুকিয়ে, চলে যাবেন তাইল্যান্ডে। “তাইল্যান্ডের ছবিতে আমার একেবারে অন্য লুক। এত স্টাইলিশ আমাকে কোনও দিন কেউ সিনেমার পর্দাতে দেখেনি,” নওয়াজ বলেন।
ইতিমধ্যে কলকাতা থেকেও কিছু অফার এসেছে নওয়াজের কাছে। “সামনেই কলকাতার এক পরিচালকের সঙ্গে আমার মুম্বইতে মিটিং হওয়ার কথা,” নওয়াজ জানান। কলকাতাতে নওয়াজ হিন্দি ছবির শ্যুটিং করেছেন। হয়তো টলিউডে কোনও নতুন ‘কহানি’ লেখা শুরু করার সময় এসেছে! |
|
|
 |
|
|