মদের আসর থেকে উঠে এসে, এক মাঝবয়সী মূক ও বধির মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ২ যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে কুমারগ্রামের মধ্য নারারথলি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, ঘটনাটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা এক যুবককে ধরে ফেলে, তবে অন্য যুবকটি পালিয়ে যায়। ওই রাতে বাসাবাড়িতে কাজ সেরে গ্রামের একটি সুনসান এলাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে ২ যুবক মদ্যপ তাঁর পথ আটকে দেয়। যুবকেরা রাস্তার পাশের মাঠেই মদের আসর বসিয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। প্রতিবন্ধী মহিলাকে টেনে ঝোপে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারাই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মহিলাকে উদ্ধার করে।
আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মাঘোরিয়া বলেন, “প্রতিবন্ধী মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্তকে খোঁজা হচ্ছে।” ধৃত যুবকের নাম মিঠুন বসুমাতা। পুলিশ জানিয়েছে, সে পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী। অসমের বাসিন্দা হলেও সে কুমারগ্রামের দুবাশ্রী গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে থাকেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। নির্যাতিতা মহিলার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি জন্ম থেকেই মূক ও বধির। বছর পাঁচেক আগে মহিলার স্বামী মারা গিয়েছেন। বাসাবাড়িতেই কাজ করে তিনি একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। মহিলার দিদি সুকিনা বিবি বলেন, “ও জন্ম থেকে কথা বলতে পারে না, কানেও শোনে না। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” ধৃত যুবকের শ্বশুর লেবারাম বড়ো বলেন, “আমার কিছুই জানা নেই। মিঠুন যদি একাজ করে ওর শাস্তি হোক।” চলতি সপ্তাহে কুমারগ্রামেই, স্বামীকে সুস্থ করার টোপ দিয়ে এক বধূকে টানা ৩ দিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরে বধূ আত্মঘাতী হওয়ায় ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ধর্ষণের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কামাখ্যাগুড়ি নাগরিক মঞ্চের সভাপতি ননীশঙ্কর পাল বলেন, “এমন ঘটনা বরদাস্ত করা যাবে না। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।” |