|
|
|
|
ধর্ষণ কাণ্ডে চার্জশিট গ্রহণ করল আদালত |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডে পুলিশের চার্জশিট আজ গ্রহণ করল সাকেতের মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট নম্রিতা অগ্রবালের আদালত। সোমবার সাকেতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে এই মামলার প্রতি দিন শুনানি শুরু হবে।
ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা গণধর্ষণ, খুনের মতো অভিযোগগুলির পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলেই মনে হয়েছে তাঁর। সোমবার পাঁচ অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মামলার ষষ্ঠ অভিযুক্ত নাবালক। তার বিচার ‘জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে’ হবে।
সরকারি আইনজীবী রাজীব মোহন এ দিন বলেন, সফদরজঙ্গ হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিজের বয়ান দিয়েছিলেন ধর্ষিতা। তাঁর পুরুষ বন্ধুও ঘটনার বিবরণ দিয়েছিলেন পুলিশকে। ওই বয়ান দু’টিই মামলার প্রধান প্রমাণ। ডিএনএ রিপোর্টের কথাও উল্লেখ করেন মোহন। তিনি জানিয়েছেন, ধৃতদের জামাকাপড়ে লেগে থাকা রক্তের সঙ্গে তরুণীর রক্তের গ্রুপ মিলে গিয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মোট ১২টি প্রমাণ পেশ করা হয়েছে। সাক্ষী হিসেবে চার্জশিটে রয়েছে ৮০ জনের নাম। সরকারি আইনজীবী বলেন, ধর্ষিতা ও তাঁর বন্ধুর জামাকাপড় ছিঁড়ে নিয়েছিল অভিযুক্তরা। পরে প্রমাণ নষ্ট করার জন্য সেগুলি পোড়ানো হয়।
চার্জশিট পেশের ক্ষেত্রে নিজেদের একটি বড় ভুলের কথা আজ স্বীকার করে নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। চার্জশিটের উপরে খুনের অভিযোগের কথা উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছে তারা। ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মোহন বলেন, “ওটা ভুলই। নতুন আর্জি পেশ করে আমরা ভুল সংশোধন করতে চাই।” ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন, মূল চার্জশিটে খুনের অভিযোগের কথা আছে। তাই কেবল উপরের ভুল শোধরানোর জন্য নতুন আর্জি পেশের প্রয়োজন নেই। আজ শুনানির মধ্যেই এক ব্যক্তি দাবি করতে থাকেন, ধর্ষিতা তরুণীর নাম প্রকাশ করতে হবে। স্বামী ওম জি নামের ওই ব্যক্তি ধর্ষিতাদের একটি সংস্থা চালান। তাঁর বক্তব্য, তরুণীর পুরুষ বন্ধু একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এখন তরুণীর নাম গোপন করা অর্থহীন। সরকারি আইনজীবী অবশ্য এই দাবি মানতে চাননি। তিনি বলেন, যে চ্যানেল তরুণীর বন্ধুর সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|