|
|
|
|
ব্রহ্মপুত্র মেল কাণ্ড |
বাড়ি ফিরলেন নিগৃহীতা মহিলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
ব্রহ্মপুত্র মেলে নিগৃহীতা মহিলা কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বলে দাবি করেছে রেল পুলিশ। তাদের বক্তব্য, মহিলার বাবার সঙ্গে কথা বলে সামনে এসেছে এমন কিছু তথ্য। যেমন তারা জানতে পেরেছে, এর আগেও কয়েক বার বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন ওই মহিলা। উত্তরবঙ্গ থেকে এক মহিলা কনস্টেবল-সহ তিন জন পুলিশের একটি দল গত কাল রাতে মহিলার বাবাকে নিয়ে পটনায় এসে পৌঁছন। পটনার রেল পুলিশ আজ বাবার হাতে মেয়েকে তুলে দিয়েছে।
রেল পুলিশ থেকে জানানো হয়েছে, ওই মহিলার কথায় অসংলগ্নতা থাকায় কোনও মামলা দাঁড় করানো যাচ্ছিল না। কেন? তাদের দাবি, ওই মহিলা কোথায় এবং কেন যাচ্ছিলেন, সেটাই ঠিক ভাবে বলতে পারছিলেন না। এক বার বলছিলেন, দিল্লি যাচ্ছেন। এক বার বলছিলেন, দিল্লি থেকে ফিরছেন।
কেন ট্রেনে চেপেছিলেন, সেই ব্যাপারে এগজিকিউটিভ ম্যাজিট্রেটকেও সঠিক তথ্য তিনি দিতে পারেননি।
রেল পুলিশের আইজি বিনয় কুমার বলেন, “মেয়েটির কথা অনুযায়ী মামলা দাঁড় করানো যাচ্ছিল না। অসম রাইফেলের জওয়ান এ ডি উপাধ্যায়ের সাক্ষীর ভিত্তিতে ওই মামলা দাঁড় করানো হয়েছে।”
ধৃতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলেও আইজি জানিয়েছেন। ওই ট্রেনে আরপিএফের যে রক্ষী ছিলেন, তাঁকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এডিজি রেল পরেশনাথ রায় বলেন, “ওই দিন টিকিট পরীক্ষকের কী ভূমিকা ছিল তা নিয়েও তদন্ত হচ্ছে।” তবে ইলাহাবাদে যে চার জওয়ানকে আটক করা হয়েছিল, তাঁদের আরায় নিয়ে আসার পরে বক্তব্য নথিভুক্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মহিলার বাবা রেল পুলিশকে কী জানিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে আইজি বলেন, “মহিলার পরিবার খুবই গরিব। তিনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত। অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তাঁর ১৩ এবং ১৪ বছরের দু’টি সন্তান আছে।” |
|
|
|
|
|