জমে উঠেছে শিশুবিজ্ঞান মেলা। পান্ডবেশ্বর অজয় নদের পাড়ে ১ জানুয়ারি এই মেলার উদ্বোধন করেনবিডিও নিশান্ত মুখোপাধ্যায়। মেলা শেষ হবে ৭ জানুয়ারি।
উদ্যোক্তা ছাত্র সমিতি, পাণ্ডবেশ্বর জানায়, এই মেলার এ বারের থিম কন্যাভ্রূণ হত্যা প্রতিরোধ। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে কৃতী ২৪ জন মহিলার ছবি রাখা হয়েছে।নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যে কীভাবে ভেজাল করা হচ্ছে, বইয়ের দোকান, পোস্টার প্রদর্শনী, চিত্র প্রদর্শনী, কৃষিকাজ নিয়ে প্রদর্শনী এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রদর্শণী পরিচালনা করছেন বিভিন্ন বয়সের শিশুরা। সমিতির সম্পাদক মিহির রুইদাস জানান, কুড়ি বছর আগে মেলা শুরু হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের শিশু প্রতিভা বিকাশের চাহিদা থেকে। শিশুদের বিজ্ঞান মনস্ক করতেই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই মেলায় বইয়ের দোকান পরিচালনা করছে ডালুরবাঁধ এলাকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সন্দীপ মন্ডল। একই শ্রেণির পড়ুয়া এরিয়া মোড়ের শুভজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ফুলবাগানের স্বরূপ মণ্ডল বিজ্ঞান প্রদর্শনীর নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাঁদের কথায়, “দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা যেহেতু মেলায় সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করে, তাই এই মেলা আমাদের মনের মেলা।” |
মেলায় উৎসুক পড়ুয়ারা। ছবিটি তুলেছেন ওমপ্রকাশ সিংহ। |
মেলায় প্রতিদিনই দুপুর ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। প্রথম দিন সন্ধ্যায় সরস্বতী নৃত্যাঙ্গন নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশন করে। দ্বিতীয় দিন বিচিত্রানুষ্ঠান। তৃতীয় দিন ছোটদের নাটক ‘অবাক জলপান’ করা হয়। শুক্রবার ছিল বিচিত্রানুষ্ঠান। শনিবার থাকবে হিন্দি নাটক ‘অপাহিত কী জিন্দেগী’, রবিবার থাকবে সিউড়ির পূর্বা গিটার শিক্ষাকেন্দ্রের অনুষ্ঠান। প্রথম দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুরে যথাক্রমে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, নৃত্য ও প্রবন্ধ রচনা, সঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান, কুই্যজ এবং যেমন খুশি আঁকো প্রতিযোগিতা হচ্ছে। পান্ডবেশ্বর এবং নদ পেরিয়ে বীরভূমের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে এই মেলা। এলাকার বিশিষ্ট আইনজীবী জিতেন চট্টোপাধ্যায়, গৃহশিক্ষক মহেশ মণ্ডল থেকে বীরভূমের রাজনগরের বিধায়ক বিজয় বাগদি’রাও উদ্ধুদ্ধ। তাঁরা জানান, এই মেলা উৎসবে পরিণত হয়েছে।
|
জাতীয় বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি উৎকর্ষ কেন্দ্র কলকাতায় গড়ার জন্য শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের কাছে চিঠি দিয়ে আবেদন জানালেন কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া। তাঁর আরও আর্জি, কেন্দ্র বিজ্ঞান চর্চায় উন্নতির জন্য বাড়তি অনুদান দিক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে। |