কৃষি, গ্রামীণ শিল্পমেলা এবং কৃষিজাত পণ্যের প্রদর্শনী শুক্রবার থেকে পূর্বস্থলী থানার মাঠে শুরু হল। অনুষ্ঠান উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। পারুলিয়া বাজার থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে র্যালিটি উৎসব প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। রনপা, ঢাক, ঢোল, ব্যান্ড-সহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র র্যালিটিতে থাকে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ হয়। উদ্বোধক হিসেবে রাজ্যের বিজ্ঞান এবং কারিগরি দফতরের মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “উৎসবে প্রচুর ফুলের চারা এবং কুটিরশিল্পের সামগ্রী রয়েছে। আমার আশা বহু মানুষ এতে অংশ নেবে।” এদিন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প, বস্ত্র এবং ভূমি দফতরের প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন। উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, মেলায় স্টল সংখ্যা ৬২। স্টলগুলিতে তাঁতের সামগ্রী, ফল, ফুলের চারা, হাতে তৈরি বিভিন্ন নকশার সামগ্রী রয়েছে। মেলা কমিটির বাইরেও অনেকে স্টল দিয়েছেন। পিঠেপুলির দোকান ও নাগরদোলনাও রয়েছে। কৃষকদের উৎসাহ দিতে বিভিন্ন কৃষিজাত সামগ্রী নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। মৎস দফতরের পক্ষ থেকেও একটি শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে মৎস চাষিদের পরামর্শ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলায় তিন দিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে নাচ, গান, কবিতার আসরের আয়োজন করা হয়েছে। পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা মেলা কমিটির সভাপতি তপন চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “এই ধরণের মেলা পূর্বস্থলী ২ ব্লকে আগে কখনও হয়নি। অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে যোগ দিয়েছে।”
|
সরকারি প্রকল্প নিয়ে শুক্রবার দুপুরে বৈঠক হল মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে। মহকুমাপ্রশাসনের তরফে একশো দিনের কাজ, স্বাস্থ্যবিমা, ইন্দিরা আবাস যোজনা, মিড-ডে মিল, এসএসকে ও এসএসকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির খতিয়ান তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, চলতি আর্থিক বছরে ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দের পরিমাণ ৫২ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। ২০১২ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহকুমার পাঁচ ব্লকে এই প্রকল্পে ৫০ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে, যা প্রায় ৯৭ শতাংশ। সব থেকে বেশি টাকার কাজ হয়েছে কালনা ১ ব্লকে। খরচের পরিমাণ ১৫ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা। ২৭ লক্ষ ৩৩ হাজার শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে। এর আগের আর্থিক বছরে যেখানে ১৭ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, সেখানে শ্রমদিবস তৈরি হয়েছিল ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার। মহকুমার মন্তেশ্বর-সহ বিভিন্ন জায়গায় নদীর জলধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সেচ দফতরের সঙ্গেও পরিকল্পনার কাজ চলছে চলতি আর্থিক বছরে। এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ১২১টি পরিবার এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ১৪ হাজার পরিবার। তাদের মধ্যে ১৫ দিনের বেশি কাজ পেয়েছে প্রায় ৬০ হাজার পরিবার। রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবিমা যোজনায় চিকিৎসার জন্য মহকুমায় রয়েছে তিনটি নার্সিংহোম। এই প্রকল্পে কী সুবিধা রয়েছে, কারা ওই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হতে পারেন তা নিয়েও আলোচনা হয়।
|
কলেজ সংসদ নির্বাচনে ৩২টি আসনে একমাত্র মনোনয়ন জমা দিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র তোলার দিন। এসএফআই আগেই জানিয়ে দিয়েছে, ‘সন্ত্রাসের ভয়ে’ নির্বাচনে যোগ দেবে না তারা। এ দিনই তাদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তারা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন গোষ্ঠী প্রায় আড়াইশো মনোনয়ন তুলেছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে হাটকালনা পঞ্চায়েত এলাকায় একটি বৈঠক বসে। সেখানে ব্লক পর্যায়ে তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতিতে ৩২টি আসনে একটি তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকা মত প্রার্থীরা শুক্রবার কলেজে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। প্রার্থীদের মধ্যে নাম রয়েছে কুটির শিল্প, রাজ্যের বস্ত্র ও ভূমি প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথের ছেলে তথা ইতিহাসের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সৌরভ দেবনাথেরও। আগামী ১০ জানুয়ারি কলেজ সংসদের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
|
বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে সাইকেল চুরি করে পালানোর সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেলেন কালনার ঠাকুরপাড়ার বাসিন্দা রামকৃষ্ণ রায়। পাড়ার লোকজন তাঁকে মারধর করে কাটোয়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে কাটোয়ার টেলিফোন ময়দানের একটি নার্সিংহোমের বেসমেন্ট থেকে সাইকেল নিয়ে পালানোর সময়ে পাড়ার লোকজন ও রোগীর আত্মীয়েরা তাঁকে ধরে ফেলেন। ধৃতের বিরুদ্ধে আসানসোল থানাতেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
|
জেলখানায় তরুণী তাঁর ধর্ষককে চিহ্নিত করলেন। গতকাল টি আই প্যারেডে পঁয়ত্রিশ বছরের এক মূক ও বধির তরুণী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সামনে আঙুল তুলে আসামী হিরু বাগকে চিনিয়ে দিলেন। এদিন তাঁর দোভাষি বৈদ্যপুর মূক ও বধির স্কুলের শিক্ষিকাও উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে টি আই প্যারেড হয়। অনেক আসামীর মধ্যে তিনি হিরু বাগকে চিহ্নিত করেন।” পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর দোষী কড়া শাস্তি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
|
১৬ দলকে নিয়ে রাজনন্দিনী কাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বর্ধমানের মালির মাঠে শুরু হল। গোপাল গোয়েনকা এবং অপূর্ব পাল প্রতিযোগিতাটির স্পনসর। খেলোয়াড় লক্ষ্মীরতন শুক্ল, সৌরাশিস লাহিড়ি, প্রাক্তন রনজি খেলোয়াড় চরণজিৎ সিংহ খেলার মাঠে উপস্থিত ছিলেন। লক্ষ্মীরতন শুক্লের কথায়, “গ্রামের মাঠে এমন একটি প্রতিযোগিতা দেখতে এত ভিড় হচ্ছে দেখে আমি আনন্দিত। আমাদের রঞ্জি ম্যাচেও ইডেনে এত দর্শক থাকে না। আশা করি প্রতিযোগিতাটি আরও বড় হবে।” |