নামেই শ্মশান, আদতে দূষণের আখড়া
লাশির তেজনগর শ্মশান ঘাটের পরিষেবা ও গঙ্গা দূষণ নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের ক্ষোভের অন্ত নেই। কিন্তু ঘুন ভাঙেনি প্রশাসনের। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন, সকলেই জানেন এ ব্যাপারে স্থানীয় ক্ষোভের কথা। কিন্তু আড়মোনা ভেঙে যে একটু উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসবেন, এমন সম্ভাবনা নেই। নেই সদিচ্ছাও।
শ্মশানে বৈদ্যুতিন চুল্লি নেই। ভরসা সেই সাবেক ডোম। তাঁরা অনেক সময়েই দেহ ঠিক মতো সযকার না করে নদীতে ভাসিয়ে চলে যান। কিন্তু নদীর পাঁকে সে দেহ আটকে দূষণে জেরবার গ্রামবাসীরা। মৃতের বস্ত্র, বিছানা সবই পড়ছে গঙ্গায়। শীত ও বর্ষায় এই সমস্যা আরও প্রকট।
অবহেলিত শ্মশান। —নিজস্ব চিত্র।
শ্মশান জুড়ে থাকার মধ্যে রয়েছে ছোট্ট একটি ঘর, যেখানে মহিলারা স্নানের কাপড় কোনও রকমে পাল্টান। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনিক এই উদাসীনতার দরুন গঙ্গার জল দূষিত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ধনঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, “আজকাল গঙ্গার জলে আর স্নান করা যায় না। ইতিউতি নোংরা। মৃতের বস্ত্র, বিছানাপত্র জলে ভাসছে। গঙ্গার পাড়ও আবর্জনায় ভর্তি। এলাকার মানুষের দাবি বৈদুতিন চুল্লি চালু হোক। কিন্তু কে শোনে কার কথা। প্রশাসনের কোনও হেলদোলই নেই।” স্থানীয় পলাশি-২ পঞ্চায়েতে প্রধান তৃণমূলের আফাজউদ্দিন শেখ সরাসরি বলে দিচ্ছেন, “অত পরিষেবার ব্যবস্থা করা আমাদের অসাধ্য।” তিনি জানান, ২০০৮ সাল নাগাদ সাংসদ জ্যোতির্ময়ী শিকদারের সাংসদ তহবিলের অর্থে কিছু কাজ হয়েছিল। সেই শেষ আর অনুদান মেলেনি। স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, “শ্মশানে গড়ে ১০০টি করে শবদাহ করা হয়। কিন্তু সৎকারের উপযুক্ত কোনও ব্যবস্থা নেই। সাংসদ ও বিধায়কের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় ওই শ্মশানে বৈদ্যুতিন চুল্লি বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে।” কিন্তু কবে? কেউ জানে না।

চিতাবাঘের হানা
জলদাপাড়ার জঙ্গল থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চিতাবাঘের আক্রমণে জখম হলেন দুই তরুণ। জলদাপাড়া রেঞ্জের জঙ্গলে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.