তপসিয়ায় শিশু চুরির গুজব, বদলি হলেন ডিসি |
মাস দেড়েক ধরে পরপর শিশু চুরির অভিযোগ উঠছে। ‘ছেলেধরা’র গুজবে উত্তেজনা ক্রমশ ছড়িয়েছে তিলজলা, তপসিয়া, কড়েয়া, বেনিয়াপুকুরের ঘিঞ্জি এলাকায়। ছেলেধরা সন্দেহে পরপর গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পার্ক সার্কাস লোহাপুল, তিলজলা জি জে খান রোড, তপসিয়া সেকেন্ড বাই-লেনে। ঘটনাস্থলে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ, দমকল। অভিযোগ, গুজব আটকাতে সচেতনতার প্রসারে উদ্যোগী নয় পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে বুধবার দক্ষিণ পূর্ব ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার চম্পক ভট্টাচার্যকে বদলি করা হয়েছে। এসেছেন দেবব্রত দাস। পুলিশেরই একাংশের বক্তব্য, গুজব ছড়ানো রুখতে পুলিশের ব্যর্থতার জেরেই এই বদলির নির্দেশ। পুলিশের অবশ্য দাবি, খাতায়-কলমে শিশু নিখোঁজের মামলা মাত্র একটিই। ‘ছেলেধরা’র দাবিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েও চিন্তিত লালবাজার। গুজবের ‘উৎস’ খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই সব এলাকায় বেড়েছে নজরদারিও। পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম বলেন, “পুরো বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত কয়েক সপ্তাহে দারাপাড়া, মোল্লাপাড়া, শামসুল হুদা রোড, তপসিয়া লেন থেকে পরপর শিশু নিখোঁজ হয়েছে। চকোলেট, বিস্কুট দেখিয়ে তাদের প্রলোভন দেখাচ্ছে ৩৫-৪০ বছরের অচেনা লোকেরা। কথায় ভুলিয়ে ওষুধ বা ‘জাদুমন্ত্রে’ সম্মোহন করা হচ্ছে। তার পরে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে অপহৃত কারও কারও হাত-পা কাটা, চোখবিহীন দেহ মিলছে। স্থানীয় এক যুবক বলেন, “এ সব কথা পুলিশ বিশ্বাস করতে চাইছে না। উধাও না-হলে কী আর এমনি-এমনি কাউকে মারধর করা হয়!” পুলিশের দাবি, এমন কোনও লিখিত অভিযোগ নেই। ১৮ ডিসেম্বর তপসিয়ার দারাপাড়া থেকে আড়াই বছরের মানিয়া খাতুন নিখোঁজ হয়। তার হদিস মেলেনি। আর কোনও নিখোঁজের অভিযোগ পায়নি পুলিশ।
|
ঋত্বিক ঘটকের নাতনি অদিতি ঘটককে খুনের অভিযোগে পুলিশ বুধবার জ্ঞানজিৎ পটার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, গত ডিসেম্বরে সোনারপুরের খেয়াদহের একটি খালে গাড়ি পড়ে মারা যান অদিতি। তিনি তাঁর দুই বান্ধবীর সঙ্গে জ্ঞানজিতের গাড়িতে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন জ্ঞানজিৎ। স্থানীয়েরা অদিতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। অদিতির মা অভিযোগ করেন, মেয়েকে খুনের ঘটনায় জ্ঞানজিৎ জড়িত।
|
রেললাইনের ধার থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হল। বুধবার, বেলঘরিয়া ও দমদম স্টেশনের মাঝে সিসিআর ব্রিজের কাছে। মৃতের নাম অমিত ঘোষ (২৮)। পুলিশ জানায়, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরোন অমিত। রাতে না ফেরায় মঙ্গলবার পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন অমিতের বাবা। পুলিশের অনুমান, ভোরের কুয়াশায় লাইন পার হওয়ার সময়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। |