|
|
|
|
|
তিরিশে পা
রাখল ইন্টারনেট
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
শুভ জন্মদিন! সারা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের সেবায় জীবনের ২৯টা বসন্ত কাটিয়ে দিল সে। মানুষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন আর তথ্য জোগান করে। মঙ্গলবার পয়লা জানুয়ারির দিন ৩০ বছরে পা দিল সে। এখন আমাদের জীবনের সঙ্গে ভীষণ ভাবে জড়িত সে। তাকে ছাড়া চলে না একটা দিনও। সে হল ‘ইন্টারনেট’। যোগাযোগ ব্যবস্থার এক যুগান্তকারী ও সস্তা মাধ্যম।
১৯৮৩ সালের পয়লা জানুয়ারি আধুনিক ইন্টারনেট ব্যবস্থা শুরু করে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর। ‘নেটওয়ার্ক কন্ট্রোল প্রোটোকল’ (এনসিপি)-কে সরিয়ে চালু করা হয় ‘ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রোটোকল এবং ইন্টারনেট প্রোটোকল’ (টিসিপি/আইপি)। আজ আমরা যে ইন্টারনেট দেখি, তা এই টিসিপি/আইপি-ই। আগেকার ব্যবস্থায় মাত্র এক হাজারটি কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা যেত। তা ছাড়া যথেষ্ট সুরক্ষাও ছিল না সেই ব্যবস্থায়। তাই ১৯৭৩ সাল থেকে এই সমস্যাগুলির সমাধানের চেষ্টা করতে থাকেন ভিন্ট সার্ফ ও রবার্ট কান। দশ বছর পর আধুনিক টিসিপি/আইপি-র জন্ম হয়। ছ’বছর পর, ১৯৮৯ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী টিম বার্নারস-লি তৈরি করেন ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’।
এই উপলক্ষে ক্রিস এডওয়ার্ডস, এক ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি ম্যাগাজিনের সাংবাদিক বলেন, “যখন ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করা হয়, আমার মনে হয় না তখন কেউ এর গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা করতে পেরেছিল।”
ইন্টারনেটের ইতিহাসে এতগুলো মাইলফলক রয়েছে যে কবে এটার জন্ম হয়েছিল, তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। তবে টিসিপি/আইপি-র জন্মকেই ইন্টারনেটের জন্ম হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। তাই ইন্টারনেটকে ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ জানাতে ভুলবেন না যেন কেউ। |
|
|
|
|
|