খেলার টুকরো খবর
প্রথম ম্যাচে হেলায় জয় বর্ধমানের
বর্ধমানের মোহনবাগান মাঠে বুধবার উদিত সিংহের তোলা ছবি।
দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়ে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় যাত্রা শুরু করল বর্ধমান। সর্বভারতীয় এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী খেলাতেই চেন্নাইয়ের শ্রীরামস্বামী মেমোরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়কে ৫-০ গোলে হারিয়ে দিল তারা। বুধবার থেকে বর্ধমানে বসল সর্বভারতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতা স্যার আশুতোষ কাপের আসর। এ দিন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন প্রাক্তন ফুটবল তারকা বিদেশ বসু। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উদ্বোধন হয়। বিদেশ বসু বলেন, “১৯৭১ সালে আমি এই প্রতিযোগিতার জন্য ট্রায়াল দিতে আসি। মাত্র ১০ মিনিট ট্রায়ালের পরে আমাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে ১৯৭৩-এ আমাকে খেলাতে চেয়েছিল বর্ধমান। কিন্তু তত দিনে আমি কলকাতার মাঠে সুযোগ পেয়ে গিয়েছি। তাই আর বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে খেলতে আসিনি।” প্রতিযোগিতায় পুল এ-তে বর্ধমান ও চেন্নাইয়ের দলটি ছাড়াও রয়েছে পাতিয়ালার পঞ্জাবি ও কোলাপুরের শিবাজি বিশ্ববিদ্যালয়। পুল ডি-তে কলকাতা ছাড়া রয়েছে চণ্ডীগড়ের পঞ্জাবি, মুম্বই ও মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়। এ দিন খেলার শুরু থেকেই বাঁ প্রান্ত দিয়ে দ্রুত গতিতে ওঠানামা করছিলেন বর্ধমানের অনিল কিস্কু। বর্ধমানের মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো সব বলের লক্ষ্যই ছিলেন অনিল। দশ মিনিটের মধ্যেই দু’টি নিখুঁত পাঞ্চে দু’টি গোল করে ফেলেন অনিল। তার পরেই খেলা থেকে হারিয়ে যায় চেন্নাইয়ের দলটি। এমনকী, মাঠে বসে থাকা বিদেশ বসুও অনিলের খেলা দেখে আটের দশকে তাঁর নিজের খেলার স্মৃতি ফিরে আসার কথা জানালেন। ম্যাচেরর প্রথমার্ধেই চারটি গোল করে ফেলে বর্ধমান। পেনাল্টি থেকে তৃতীয় গোলটি করেন অনিল। এর কিছু পরেই অনবদ্য গোল করেন বর্ধমানের স্ট্রাইকার অভিষেক দেবনাথ। গতি বাড়িয়ে চেন্নাইয়ের দুই স্টপারকে এড়িয়ে গোল ছেড়ে বেরোনো গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে লব করে বল জালে জড়ান তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে দলের পঞ্চম গোলটি করেন অনিলই। বর্ধমান দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর রথীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের গ্রুপে অন্য অঞ্চলগুলির দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা দলগুলি রয়েছে। তাই প্রতিটি ম্যাচই ‘ডু অর ডাই’ মনোভাব নিয়ে খেলতে হবে। আমার ছেলেরা তৈরি। ঘরের মাঠে সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতা জেতার সুযোগ হেলায় হারানো উচিত নয়, এটা তারা জানে।” এ দিনের ম্যাচ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “চেন্নাইয়ের দল আমাদের চেয়ে অনেক ভাল। তাই প্রথম থেকে উইং ধরে আক্রমণের রাস্তা নিয়েছিলাম। তাতেই মিলেছে সাফল্য। পরের ম্যাচেও বিপক্ষের দল দেখে পরিকল্পনা করা হবে।” এ নিয়ে প্রতিযোগিতায় অনিলের গোলসংখ্যা হল ১০টি।

বিজয়ী বড়থল

আসানসোল মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা ও মহিশীলা অরবিন্দ ক্লাব আয়োজিত ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বড়থল আদিবাসী কৃষক সমিতি। অরবিন্দ ক্লাব মাঠে তারা ধেনুয়া আদিবাসী ক্লাবকে ট্রাইবেকারে ৭-৫ গোলে হারায়। নির্ধারিত সময়ে ফল ছিল ২-২।

জিতল শ্যামনগর

ফ্রেন্ডস ক্লাবের ফুটবল প্রতিযোগিতার বুধবার খেলায় জিতল শ্যামনগর তরুণ সঙ্ঘ। মেট্রো রেল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনকে (কলকাতা) ১-০ গোলে হারায় তারা। ম্যাচের সেরা বিজয়ী দলের বাবন দাস।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.