টুকরো খবর
অস্ত্রোপচার হয়নি, হতাশ সেই যুবক
শল্য চিকিৎসক থাকা সত্ত্বেও মঙ্গলবার শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পায়ের আঙুলে অস্ত্রোপচার হল না গাঙ্গুলিবাগানের চশমা কারখানার কর্মী অমিতকুমার পালের। এই নিয়ে গত চার মাসে বেশ কয়েক বার তাঁকে ফিরে যেতে হল। এ বার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে অন্যত্র চিকিৎসা করানো বা আরও অপেক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। ঘটনার কথা জানতে পেরে আজ, বুধবার অমিতের উপযুক্ত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন শ্রীরামপুরের চিকিৎসক-বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। সুদীপ্তবাবু বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য। ওয়ালশের পরিস্থিতি নিয়ে সুদীপ্তবাবু নিজেও হতাশ। তিনি বলেন, “হাসপাতালের অবস্থার কথা রাজ্য প্রশাসন এবং স্বাস্থ্যকর্তাদের জানিয়েছি। হাসপাতালের সুপার আসেন বনগাঁ থেকে। যাতায়াতেই তাঁর ছ’ঘণ্টা লেগে যায়। হাসপাতালের পরিচালন ব্যবস্থাতেই গোলমাল পাকিয়ে গিয়েছে।” সুপার অবশ্য দাবি করেছেন, হাসপাতালের পরিষেবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। মাস চারেক আগে ওয়ালশ হাসপাতালে যান অমিত। দুই শল্য চিকিৎসক তাঁকে দেখে সামান্য অস্ত্রোপচার করতে হবে জানিয়ে একের পর এক ‘ডেট’ দিয়েছেন। কিন্তু বহুবারই তাঁদের নির্দিষ্ট দিনে এসে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ অমিতের। সোমবার সুপার বিবেকানন্দ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। সেই মতো হাসপাতালে গিয়ে ফের হতাশ হতে হয় অমিতকে। তাঁর দাবি, “সুপার প্রথমে আমাকে অন্যত্র চিকিৎসা করানোর বা হাসপাতালে অন্য চিকিৎসক আসার জন্য অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন। পরে অবশ্য সংশ্লিষ্ট শল্য চিকিৎসকের কাছে পাঠান।” কিন্তু শল্য চিকিৎসকের কাছে গিয়েও অস্ত্রোপচার হয়নি। অমিত বলেন, “বদলির নির্দেশ হয়ে গিয়েছে জানিয়ে শল্য চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করেননি।” ঘটনার ব্যাখ্যা মেলেনি সুপারের কাছ থেকে। তিনি শুধু বলেন, “আসলে সার্জেনের অভাবে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।”

দুঃস্থদের জন্য স্বাস্থ্য শিবির
মাড়গ্রামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে একটি স্বাস্থ্য শিবির হয়ে গেল নলহাটি থানার ভদ্রপুরে। গত সোমবার মহারাজা নন্দকুমার হাইস্কুলের মাঠে ওই শিবির হয়। পরীক্ষা করেন রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালের কয়েক জন চিকিৎসক। স্থানীয় বাসিন্দা হামিদুল ইসলাম বলেন, “এমন শিবির মাঝে মধ্যে হলে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ নানা ধরনের রোগের পরীক্ষার সুযোগ পান।” সংস্থার কর্ণধার মিল্টন রশিদ বলেন, “ভদ্রপুর মহারাজা নন্দকুমারের স্মৃতি বিজড়িত গ্রাম। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশেই দুঃস্থদের জন্য ওই শিবির করা হয়।”

রোগী নিখোঁজ
পাভলভ মানসিক হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হলেন এক রোগী। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙরের বাসিন্দা আইরুল খান দিন কয়েক আগে পাভলভে ভর্তি হন। মঙ্গলবার ভোর থেকে তিনি নিখোঁজ। এ দিন সকালে তপসিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সুপার রাঘবেশ মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “যা বলার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ের উপ-অধিকর্তা বলবেন।” উপ-অধিকর্তা তাপস নন্দী জানিয়েছেন, এ বিষয়ে হাসপাতাল থেকে তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.