প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে অশ্লীল নাচের অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে চলল তুমুল নাচগান। স্বল্পবাস তরুণীদের উদ্দাম নাচ ‘অশ্লীল’ বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থানার প্রায় সামনেই ওই অনুষ্ঠান পুলিশের অনুমতি ছাড়াই চলেছে বলে জেলা পুলিশেরই একটি সূত্র জানিয়েছে। অনুষ্ঠানে তৃণমূলের স্থানীয় কিছু নেতাও হাজির ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৯টা থেকে শুরু হওয়া জলসা চলে রাত প্রায় ১১টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিলেন দলের জেলা পরিষদ সদস্য মীর তাহের আলি। অভিযোগ, বাংলা-হিন্দি গানের সঙ্গে মঞ্চে চলছিল নাচ। ওই তরুণীদের দিকে টাকাও ছোড়েন ‘অত্যুৎসাহী’ কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। গোটা ঘটনায় তাহের আলির প্রতিক্রিয়া, “জলসায় অশালীন কিছু হয়েছে বলে আমি মনে করি না।” দলের জেলা সভাপতি তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “ওখানে কী হয়েছে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।” কী বলছেন বিরোধীরা? দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সরকারি অনুমতির তোয়াক্কা না করে তৃণমূলের এই তাণ্ডব দেখছেন পুলিশ-প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ। তাঁরা সবই বুঝতে পারছেন।”
|
ধর্ষণ মামলায় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট |
২০১১-র মার্চের পর থেকে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট খাতে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার নিজেরাই এই ধরনের অন্তত ৮৮টি আদালত চালিয়ে যেতে চায়। পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণ-সহ নারী-নিগ্রহের মামলা জমেছে প্রায় দেড় লক্ষ। তার দ্রুত নিষ্পত্তি করতেই ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য। আজ, বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে। ত্রয়োদশ অর্থ কমিশন বলেছে, তাদের সুপারিশ অনুযায়ী এই খাতে কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকার কোনও অংশ অব্যবহৃত থাকলে রাজ্যগুলি সেই অর্থে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালাতে পারে। রাজ্য তাই ওই আদালত চালিয়ে যেতে চাইছে।
|
দিল্লির ঘটনাকে সামনে রেখে এবং পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক ধর্ষণ ও নারী-নিগ্রহের ঘটনার প্রতিবাদে কাল, বৃহস্পতিবার রাজ্যে ছাত্র ধর্মঘট ডেকেছে এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন ডিএসও।
|