|
|
|
|
মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে যাত্রা, হিমশিম পূর্ত দফতর |
সুমন ঘোষ • মেদিনীপুর |
মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে যাত্রা। মঞ্চ করার ভার পূর্ত দফতরের। দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা বড় বড় সেতু তৈরি করেছেন, কিন্তু যাত্রার মঞ্চ তৈরির অভিজ্ঞতা তাঁদের নেই। আবার যাত্রাদল ‘বুকিং’ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। সব মিলিয়ে আগামী শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর মেদিনীপুর সফর ঘিরে ল্যাজে-গোবরে অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক কর্তাদের।
আজ, বুধবার থেকে মেদিনীপুরে শুরু হচ্ছে জঙ্গলমহল বিবেক ছাত্র ও যুব উৎসব। শেষ হবে ৫ জানুয়ারি। শেষ দিন মুখ্যমন্ত্রী আসবেন। শিলান্যাস ও উদ্বোধন পর্বের পরে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের বিশেষ প্যাকেজ দেওয়ার ব্যাপার রয়েছে। জঙ্গলমহল থেকে নিয়োগ করা এনভিএফ-দের প্যারেড করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে। এমনই নানা অনুষ্ঠান শেষে রয়েছে পুরুলিয়ার নেপাল মাহাতোর ছৌ-নৃত্য। আর সন্ধে ৬টায় নট্ট কোম্পানির ‘পরিবর্তনের পর’ যাত্রাপালা। |
|
পুলিশ-প্রশাসনের নজরদারিতে চলছে মঞ্চ নির্মাণের কাজ। —নিজস্ব চিত্র |
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকেই (সিএমও) ওই যাত্রা করানোর নির্দেশ এসেছে। যে মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ দেবেন সেই মঞ্চেই সন্ধে বেলা যাত্রা হবে। যাত্রার মঞ্চ চার দিক খোলা না তিন দিক, সাজঘর হবে কোথায়, সিঁড়ি কোন দিকেএই সব নিয়েই এখন জোর গবেষণা চলছে পূর্ত দফতরে। দীর্ঘ ভাবনা-চিন্তার পরে এক আধিকারিকের জিজ্ঞাসা, “লড়াই-মারামারির দৃশ্য থাকবে? মাওবাদী দমন বা হার্মাদ বিতাড়ন? যৌথ বাহিনীর তল্লাশি বা ল্যাণ্ডমাইন বিস্ফোরণ? সেক্ষেত্রে মঞ্চ অনেক শক্তপোক্ত করতে হবে।” শেষমেশ লড়াই-যুদ্ধ দেখানো হতে পারে ধরে নিয়েই শক্তপোক্ত শালবল্লি দিয়ে বর্গাকার মঞ্চ বানানোর কাজ শুরু হয়েছে মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট মাঠে। খরচ হচ্ছে তিন লক্ষ টাকা।
মঞ্চের সমস্যা না হয় মিটল। কিন্তু যাত্রার দল পাওয়া যাবে তো? এক আধিকারিক জানালেন, টেলিফোনে যাত্রাদলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই দিন ওঁরা ফাঁকা রাখার কথা দিয়েছেন। কিন্তু আগেই ওদের টাকা দিয়ে বুকিং করাতে হয়। সেটা এখনও হয়নি। যা শুনে আৎকে ওঠেন সামনে থাকা এক আধিকারিক, ‘‘বলেন কী? এখনও বুকিং কমফার্ম করেননি? বিপদ হয়ে যাবে।’’
টাকা নিয়ে অবশ্য ভাবছে না নট্ট কোম্পানি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যাত্রা দেখানোর সুযোগ পেয়েই খুশি তারা। সংস্থার পক্ষ থেকে গৌতম নট্ট বলেন, “পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে আধিকারিকেরা ফোন করেছেন। তবে এখনও বায়না দেয়নি। দু’একদিনের মধ্যেই এসে যাবে। আমরা ওখানে যাত্রাপালাটি মঞ্চস্থ করব।”
কী আছে এই যাত্রায়? রহস্য রেখে গৌতমবাবু বলেন, “এটা সম্পূর্ণ একটি রাজনৈতিক যাত্রাপালা।”
মুখ্যমন্ত্রী নিজে দেখবেন নাকি যাত্রা? উত্তর জানা নেই কারও। |
|
|
|
|
|