আপনার সাহায্যে...
বেশি খেয়ে বছর শেষের সমস্যা
চল্লিশ পেরোলেই এটা করবেন না, সেটা খাবেন না। ব্লাডপ্রেসার, ডায়বেটিসের ভয়। এ দিকে রোজই প্রায় পার্টি না হয় নেমতন্ন। দু’-দিক কী করে সামলাই বলুন তো?
উ: পার্টিতে যান না। অসুবিধে কী। শুধু রোজ রোজ খাবেন না। গিফ্ট দিয়ে গল্প করে চলে আসবেন।

পার্টিতে যাব আর খাব না? তাই হয় নাকি!

উ: চল্লিশ পেরিয়েছেন। ঘন ঘন নেমতন্ন থাকলে শরীরের কথাটাও তো ভাবতে হবে। রোজই বাইরের খাবার খেলে শরীরের কিন্তু বারোটা বাজবে। একান্তই যদি খান, রাশটা অন্তত নিজের হাতে রাখবেন।
যোগাযোগ
৯৮৩০০৯৩১০৪

প্রাণ খুলে খেতে বারণ করছেন, তাই তো?

উ: ঠিক তাই। কী খাচ্ছেন, বুঝে খাবেন। গল্প করতে করতে প্লেট ভরে এ টু জেড— সব নিয়ে খেয়ে ফেললে মুশকিলে পড়বেন। রেডমিট, তৈলাক্ত গ্রেভি, ভাজাভুজি, ডেজার্ট-এর মতো ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়াতে পারলে শরীর ভাল থাকবে।

এ তো ঘুরিয়ে সবই না করে দিলেন। তবে কি স্যালাড দিয়ে পেট ভরাব?

উ: নেমতন্ন বাড়ি বা পার্টিতে স্যালাডও বিপজ্জনক। সুস্বাদু বানাতে স্যালাডে মেয়োনিজের মতো ফ্যাট জাতীয় জিনিস মেশানো হয়। সুতরাং সেটাও খাবেন ভেবে চিন্তে।

তবে?

উ: সবই খাবেন। সব কিছুই একটু করে নিয়ে টেস্ট করে দেখলেন। খেলেনও অথচ তা সামান্য।

তাতে কী আর পেট ভরে?

উ: পেট ভরে খাওয়ার কথা মাথায়ই আনবেন না। লাগামছাড়া খেলে আপনার শরীরই ভুগবে। সেটা প্রতি মুহূর্তে নিজেকে মনে করাবেন। দেখবেন, বেশি খাওয়ার ইচ্ছেটাই চলে যাচ্ছে।

ভাল লাগলে তো একটু বেশি খাওয়া হয়ে যায়।
উ: খাওয়ার আগে খানিকটা জল খেয়ে নিন। খিদে অনেকেটাই চলে যাবে। ভাল ভাল খাবার দেখেও তখন আর বেশি খেতে ইচ্ছে করবে না।

এ তো এক রকমের ট্রিকস!

উ: শরীর বাঁচাতে হলে এ রকম কিছু ‘ট্রিকস’ নিজেই বের করে নিন না।

যেমন?

উ: সবচেয়ে ভাল হয় চল্লিশ টপকালেই এক জন ভাল ডায়টেশিয়ানকে দিয়ে খাবার চার্ট করিয়ে নেওয়া। তিনি-ই আপনার প্রয়োজনীয় ক্যালোরির হিসেব করে দেবেন। সেই বুঝে খেলে ওজনটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সুগার-প্রেসারকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।
বাইরে খেতে গিয়ে কি অত শত ক্যালোরির হিসেব করা যায়?
উ: এখানেও ‘ট্রিকস’ অ্যাপ্লাই করুন। রাতে বাইরে খাওয়া-দাওয়া থাকলে সারা দিন হালকা খাবার খান। যাতে দিনের শেষে ক্যালোরির হিসেবটা ঠিক থাকে। ড্রিঙ্ক করলেও পরিমিত। কোনও ভাবেই ব্রিঞ্জ ড্রিঙ্কিং যেন না হয় সেটা মাথায় রাখবেন। আর যে টুকু ক্যালোরি বেশি গেল, তার জন্য পর দিন এক্সারসাইজ করলেই হবে।

লেটনাইট পার্টি সেরে সকাল সকাল ওঠাটাই তো ঝক্কির।

উ: এ সব তো এক্সারসাইজ না করার ফন্দিফিকির। আর লেটনাইট ভুলেও করবেন না।

পার্টিতে গিয়ে খেয়েদেয়ে দুম করে বেরিয়ে পড়া যায় নাকি!

উ: স্যাটারডে নাইট ফিভার বিদেশে চলে। ওঁরা রোববার সেটা পুষিয়ে নেন। কিন্তু রোজ পার্টি, রোজ লেট নাইট হলে শরীর ধকল সামলাতে পারবে না। ক্লান্তি থাকবে। অফিসেও সেটা টের পাবেন। কাজে মন দিতে পারবেন না। সব মিলিয়ে স্ট্রেস বাড়বে।

উইক এন্ডও না?

উ: না করলেই ভাল। আর হ্যাঁ, খাবারটা একটু তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। যাতে খাওয়া আর শুতে যাওয়ার মাঝে ঘণ্টা দুই সময় পাওয়া যায়।

আর এনজয়মেন্ট?

উ:অবশ্য্যই করবেন। শুধু লক্ষণরেখাটা জেনে রাখুন। সেটা অতিক্রম না করলে আরও বেশি দিন এনজয় করতে পারবেন।

শরীর ঠিক রাখার সাত টোটকা
১) ঘন ঘন পার্টি বা নেমতন্ন থাকলে সেই কয়েক দিনের জন্য সকালে খালি পেটে অ্যান্টাসিড গ্রুপের ওষুধ খেয়ে নেবেন।
২) খালি পেটে ড্রিঙ্ক করবেন না। ড্রিঙ্ক করার আগে সামান্য কিছু খেয়ে নিন।
৩) ব্যাগে ডাইজেস্টিভ এনজাইম রাখবেন। বেশি খেয়ে পেট আইঢাই করলে কাজে লাগবে।
৪) অস্বস্তি এড়াতে লেবুজল বা সোডাওয়াটারও খেতে পারেন।
৫) সকালেও অস্বস্তি ভাব থাকলে চা বা কফি খাবেন না। সারা দিনে হালকা খাবার খাবেন।
৬) সকালে না করলেও চলবে। দিনের যে কোনও সময় এক্সারসাইজ করুন।
৭) অফিসে জিম থাকলে সেখানে গিয়ে গা ঘামান।
৮) একটানা অনেক ক্ষণ বসে কাজ করবেন না। আধ ঘণ্টা অন্তর অন্তর হেঁটে আসুন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.