কেন্দ্রীয় বরাদ্দ এসে গিয়েছে আগেই। অথচ বছর গড়িয়ে গেলেও ডিএনএ পরীক্ষাগার তৈরির কাজ এখনও শুরুই করতে পারল না রাজ্য সরকার।
বেলগাছিয়ায় রাজ্যের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির চৌহদ্দিতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পৃথক ওই ল্যাবরেটরি তৈরির কথা। এ জন্য গত বছর রাজ্য সরকারকে তিন কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। পরিকল্পনা মতো দু’হাজার বর্গফুটের একটি ঘরও তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে পরীক্ষাগার তৈরির কাজ বিশ বাঁও জলে।
অথচ ধর্ষণ, পিতৃত্ব মামলা-সহ বিভিন্ন ঘটনায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হামেশাই হায়দরাবাদ দৌড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। সরকারের এক মুখপাত্র জানান, হায়দরাবাদ ছাড়াও কলকাতায় কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু গোটা উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির চাপ থাকায় এই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার কাজ অনেকটাই সময়সাপেক্ষ। তাই রাজ্যের ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে টাকা দিয়েছে কেন্দ্র।
মহাকরণ সূত্রের খবর, ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির আধুনিকীকরণ প্রকল্পে ডিএনএ পরীক্ষাগার তৈরির জন্য প্রতিটি রাজ্যকেই অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবের উপর থেকে চাপ কমাতেই দিল্লির এই পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা কবে বাস্তবায়িত হবে, তা কেউ জানে না।
এখানেই শেষ নয়, বেলগাছিয়ায় ল্যাবরেটরি চালানোর মতো প্রয়োজনীয় লোকেরও অভাব রয়েছে। বেশির ভাগ বিভাগেই প্রয়োজনের তুলনায় অফিসার এবং কর্মীর সংখ্যা কম। ল্যাবরটরির এক পদস্থ কর্তা জানান, ডিএনএ পরীক্ষাগার চালানোর জন্য অন্তত সাত-আট জন প্রশিক্ষিত কর্মী দরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের অনুমোদন নিয়ে ইতিমধ্যেই নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে কর্মী নিয়োগ করা হবে। কিন্তু ল্যাবরেটরি তৈরির ভবিষ্যৎ সেই ঝুলেই রয়েছে।
|
একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন ফর্ম এবং দ্বাদশ শ্রেণির এনরোলমেন্ট ফর্ম জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়াল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ওই দু’টি ফর্ম জমা নেওয়া হবে বলে বুধবার জানান সংসদের সভাপতি মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সব স্কুল ফর্ম জমা দিতে পারেনি বলে বাড়তি সময় দেওয়া হল। তবে সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না।” |