তৃণমূলের দুই নেতার অনুগামীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ বাহিনী এসে লাঠি চালালো। আতঙ্কে কিছু ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে দিলেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিরোধী দল নয়, তৃণমূলের কর্মীদের নিজেদের মধ্যেই লড়াই করতে দেখল রানিবাঁধ। বুধবার এই ঘটনায় জখম হন পাঁচ জন। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে রানিবাঁধ বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এসডিপিও (খাতড়া) কল্যাণ সিংহ রায়ের দাবি, “খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দু’পক্ষের লোকজনকে সরিয়ে দেয়। পুলিশ লাঠি চালায়নি।”
রবিবার ছিল রানিবাঁধ হাইস্কুলে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন। ওই নির্বাচনে রানিবাঁধে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুনীল মণ্ডল ও ব্লকের যুব সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাহাতো দুই নেতাই তাঁদের পছন্দমতো প্রার্থী দিয়েছিলেন। অন্য প্রার্থীরাও ছিলেন। নির্বাচন শেষে দেখা যায়, সুনীলবাবু পছন্দের ছয় প্রার্থী জিতেছেন। তা নিয়েই দুই গোষ্ঠীর কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা চড়ছিল। বুধবার সকালে রানিবাঁধ বাজার এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট শুরু হয়ে যায়। রানিবাঁধ থানার আইসি মহম্মদ আজম আলির নেতৃত্বে পুলিশ এসে লাঠি চালিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। উত্তেজনা থাকায় বেশ কিছু দোকানপাটের ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। জখমদের মধ্যে এক বৃদ্ধ রয়েছেন। তাঁকে রানিবাঁধ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। চিত্তরঞ্জনবাবুর অভিযোগ, “সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া কয়েকজনের সঙ্গে আমাদের দলের ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এ দিন সকালে তাঁরাই রানিবাঁধ বাজারে আমাদের যুব কার্যালয়ে হঠাৎ ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে আমাদের জনা তিনেক কর্মীকে মারধর করে। পুলিশও আমাদের কর্মীদের মারধর করে।” সুনীলবাবুর পাল্টা দাবি, “রানিবাঁধ হাইস্কুলের ভোটে হেরে যাওয়ায় চিত্তরঞ্জনের লোকেরা মঙ্গলবার এলাকায় মাইক বাজিয়ে জয়ী প্রার্থীদের সম্পর্কে কুৎসিত মন্তব্য করে। এ দিন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা তার প্রতিবাদ করতে গেলে ওরা তাঁদের মারধর করে। শাসক দলের কর্মীদের এই সংঘর্ষে এলাকাবাসী বিরক্ত। এসডিপিও জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |