|
|
|
|
ট্রেন বাতিল, বিপত্তি রাজগিরে |
পর্যটক পেটালেন স্টেশনকর্তা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
বেড়ানোর আনন্দ ম্লান হয়ে গেল ফেরার মুখে। রাজগিরে বেড়াতে এসে রেলের ‘সৌজন্যে’ বিপাকে পড়ে গিয়েছেন শ’দুয়েক বাঙালি। ট্রেন না-পাওয়ায় রাজগিরের স্টেশন ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যাওয়ায় তাঁদের কপালে জুটল লাঠি। বাদ পড়লেন না মহিলা, বাচ্চারাও।
ঘটনার সূত্রপাত আজ বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ। বক্তিয়ারপুর স্টেশন থেকে কলকাতামুখী দিল্লি-জনতা এক্সপ্রেসে বাড়ি ফেরার কথা ছিল ওই বাঙালি পর্যটকদের। রাজগির থেকে অন্য ট্রেনে বক্তিয়ারপুর গিয়ে জনতা এক্সপ্রেস ধরার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু রাজগির স্টেশনে পৌঁছে তাঁরা জানতে পারেন, কুয়াশার কারণে ট্রেনটি বাতিল করা হয়েছে।
শুনে প্রমাদ গোনেন ভ্রমণার্থীরা। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে তাঁরা কী করবেন, বুঝতে না-পেরে খোঁজখবর করতে যান স্টেশন ম্যানেজারের কাছে। পর্যটকদলের অভিযোগ, রাজগিরের স্টেশন ম্যানেজারের কাছে এই নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি মদ্যপ অবস্থায় তাঁদের লাঠিপেটা করে ঘর থেকে বার করে দেন। তাঁদের গালিগালাজও করেন ওই রেল আধিকারিক। স্টেশন-চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ওই স্টেশন ম্যানেজার তখন সাফ বলে দেন, “যা করেছি, বেশ করেছি। এটা বাংলা নয়, বিহার।” এর পরে স্টেশন ম্যানেজার স্থানীয় লোকজনকে ওই পর্যটকদের বিরুদ্ধে খেপিয়ে দেন বলেও অভিযোগ।
বিশ্বজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নামে দমদম পার্ক থেকে আসা এক পর্যটক বলেন, “আমাদের ফেরার ট্রেন দিল্লি-জনতা এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে। সাড়ে ৪টেয় জানানো হয়, ট্রেনটি বাতিল হয়েছে। আমরা দিশাহারা হয়ে পড়ি। কী করব, বুঝতে পারছিলাম না বলেই স্টেশন-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তার পরেই এই ঘটনা।” লাঠির ঘায়ে জখম হয়েছেন বিশ্বজিৎ-পত্নী সুদর্শনাদেবী। গীতিকা পাল নামে অন্য এক ভ্রমণার্থী জানান, লাঠির আঘাতে তাঁদের অনেকেই মেঝেতে পড়ে যান।
সব অভিযোগ শুনে পূর্ব-মধ্য রেলের ডেপুটি ম্যানেজার (অপারেশন) বি কে দাস বলেন, “এমনটা করে থাকলে অন্যায় করেছেন ওই আধিকারিক। খোঁজ নিচ্ছি।” ডিআরএম (দানাপুর) এল এন ঝা বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখেছি, কোনও আধিকারিক লাঠিপেটা করেননি। তেমন হলে বক্তিয়ারপুরে গিয়ে যাত্রীরা রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। সেই অনুযায়ী আমরা বিষয়টি তদন্ত করব।” ডিআরএম জানান, ঘন কুয়াশার জন্য সময়ে ট্রেন চালানো যাচ্ছে না। বেশ কিছু ট্রেন বাতিল হয়েছে। তিনি বলেন, “ওই যাত্রীদের বক্তিয়ারপুর নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। সেখান থেকে তাঁদের কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|