বড়দিন থেকে বর্ষ শেষের রাতউৎসবের মেজাজ ধরে রাখতে প্রস্তুত বহরমপুরের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরা।ঁ এলইডি আলো বাইরে। নতুনের ছোঁয়া অন্দরসাজেও। উৎসবের মুখে পাল্টে গিয়েছে খাবারের স্বাদও।
কোনও হোটেলে যেমন ‘ক্যান্ডেললিট ডিনার’-এর আয়োজন করেছে, তেমনই ‘ফ্যামিলি গেট-টুগেদার’ করে ২২ পদের খানা দিয়ে বর্ষশেষের রাত জমিয়ে দিতে তৈরি কোনও কোনও হোটেল। কনকনে ঠান্ডায় আইরিশ কফির সঙ্গে থাকবে গনগনে কাঠকয়লার আঁচে পোড়ানো কাবাব। শিল্পতালুকের ভেতরে সদ্য নির্মিত এক হোটেলে ফ্যামিলি গেট-টুগেদারে ১০০ জনের আয়োজন রয়েছে। রাত ৮টা থেকে ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত যাওয়া যাবে। শুরুতেই মকটেলের সঙ্গে পিঁয়াজি, বেগুনি, ক্রিসপি চিকেন পরিবেশন করা হবে। এর পরে থাকবে পোলাও-বিরিয়ানি-সাদা ভাত। ভেজ ও নন ভেজ চাউমিন। সঙ্গে প্রন-চিকেন-ভেটকি-মাটন-পনিরের বিভিন্ন রান্না। শেষ পাতে দেওয়া হবে নলেন গুড়ের সন্দেশ ও রসগোল্লা এবং গোবিন্দভোগ চালের নলেন গুড়ের পায়েস। সব মিলিয়ে ওই রাতে ২২ রকমের বিভিন্ন ধরণের খাবারের পদ সাজানো থাকবে। নিজে হাতে নিয়ে ‘যত খুশি খাও’এই ভাবনায়। |
গত বছর উৎসবের দিনগুলিতে অক্টোপাস ও স্কুইড খাইয়ে বহরমপুরের খাদ্য রসিকদের চমকে দিয়েছিল ইন্দ্রপ্রস্থের মোড়ের এক রেস্তোরা।ঁ এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কফির বিন গুঁড়ো করে যেমন কফি তৈরি করা হচ্ছে, তেমনই আইরিশ কফির মতো পানীয় থাকছে। রেঁস্তোরার কর্ণধার শৈবাল রায় বলেন, “আইরিস কফির সঙ্গে ছোট বার্বিকিউ ট্রে-র মধ্যে কাঠকয়লার আগুন দিয়ে কাবাব পরিবেশন করা হবে। রয়েছে ১৫ রকমের কাবাবের পদ।” শৈবাল বলেন, “উৎসবের কথা ভেবে প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে ওয়াইনে ডুবিয়ে রাখা বিভিন্ন ফলের টুকরো দিয়ে তৈরি হচ্ছে বেকারি আইটেম। বিশেষ ভাবে বানানো চকোলেট। কেক বা চকোলেট বানানোর উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ওয়াইন, ব্র্যান্ডি, হুইস্কি, ভডকা, রাম।” এ ছাড়াও স্টাফড চিকেন কাবাব, মুর্গ-মসল্লম্-সহ দেড়শোর বেশি খাবারের পদ নিয়মিত যেমন থাকে, তেমনিই থাকবে। ওই রেঁস্তোরায় বিভিন্ন কাবাবের পদ ১০০-৩০০ টাকা, আইরিশ কফি-৭০ টাকা, পাউন্ডপিছু কেক ৪০০ টাকা, চকোলেট বার ১১০-২০০ টাকায় পাওয়া যাবে। বাড়তি রয়েছে সুগার ফ্রি চকোলেট।
বহরমপুরের প্রাণকেন্দ্র রানিবাগান মোড়ের একটি হোটেলে বড় দিন উপলক্ষে ‘ক্যান্ডেললিট ডিনার’-এর আয়োজন করেছে। আর বর্ষশেষের রাতে থাকছে মকটেল পার্টি। চলবে রাত ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত। হোটেল মালিক দিলীপ সাহা বলেন, “মকটেল-এর সঙ্গে থাকবে চিকেন পকোড়া, তন্দুরি চিকেন, ভেজ মাঞ্চুরিয়ান। এ ছাড়াও খাসির মাংসের বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, কাজু পোলাও, বেবি নান, মিক্সড ভেজিটেবল। শেষ পাতে শাহি টোকরা ও গাজরের হালুয়া।” এ ছাড়াও রকমারি পদ দিয়ে সাজানো হয়েছে ক্যান্ডেললিট ডিনারও। বহরমপুর লালদিঘির হোটেল মালিক চন্দন সরকার বলেন, “হোটেলের অন্দরমহলে নতুনত্ব বাড়তি আকর্ষণ। বড়দিন হোক আর বর্ষশেষের রাতবাঙালিয়ানার খাবারের সঙ্গে কোনও আপোষ চলবে না। উৎসবের দিনগুলিতে বাঙালি খাবার খাইয়ে চমকে দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। তাই অতিথিদের পাতে শুক্তো, পোস্ত বড়া থেকে ইলিশের রকমারি পদই থাকবে।” |