ফের পাশের দাবি নাকচ করে অনড় দুই স্কুল
থ দেখিয়েছিল সন্তোষপুর, বেহালা ও শিবরামপুর। সেই পথে হেঁটে ফেল করা ছাত্রদের পাশ করানোর দাবি শনিবার নাকচ করে দিল ঘোলা এবং আসানসোলের দু’টি স্কুল।
সন্তোষপুরের ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যাপীঠের ক্ষেত্রে অন্য নামে বিক্ষোভে মদত দিয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। এ দিন আসানসোলের ওল্ড স্টেশন উচ্চ বিদ্যালয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্টে ফেল করা দুই ছাত্রের অভিভাবককে নিয়ে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের ঘরে যান পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর। কাউন্সিলরের সেই দাবি অবশ্য মানেননি প্রধান শিক্ষক।
উত্তর ২৪ পরগনায় ঘোলায় ফেল করা ৪৩ ছাত্রকে পাশ করানোর দাবিতে অন্তত ১০০ লোক চড়াও হন ঘোলা হাইস্কুলে। গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মারধরের হুমকি দেওয়া হয় বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। ছাত্রেরা বহিরাগতদের নিয়ে এসে এ ভাবে বিক্ষোভ দেখানোর পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ পিছু হটেননি।
এ দিন ওই স্কুলে রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয়ের পরীক্ষা চলছিল। সেই পরীক্ষা পরিদর্শনে হাজির হয়েছিলেন ব্যারাকপুরের স্কুল পরিদর্শক সুকুমার দাস। তিনিই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি জানান। পুলিশ ও স্থানীয় মানুষের উদ্যোগে সন্ধ্যার পরে ঘেরাও উঠে যায়।
অভিভাবকদের দাবি, ফেল করা ছাত্রদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিতে হবে। অন্য জায়গায় যখন ফেল করা ছাত্রদের পাশ করানো হচ্ছে, তখন ঘোলা হাইস্কুলই বা করবে না কেন! স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নিরুপায় হয়েই ওই ছাত্রদের আটকানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষক পিন্টু ভট্টাচার্য বলেন, “মাধ্যমিকের টেস্টে ৬-৭টি বিষয়ে ফেল করা ছাত্রদের আটকানো হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক টেস্টে ৩-৪টি বিষয়ে ফেল করলেও পাশ করানো সম্ভব নয়।”
স্কুলে এ দিন বিক্ষোভের সময়ে স্কুল পরিদর্শক হাজির থাকায় সুবিধা হয়ে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষের। সুকুমারবাবু বলেন, “প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনার পর ঠিক করা হয়েছে, আগামী ২৮ তারিখে ফেল করা ছাত্রদের অভিভাবকদের পরীক্ষার খাতা দেখানো হবে। তার পর ওঁরা নিজেরাই বুঝবেন, পাশ করানো উচিত কি না!”
স্কুল পরিদর্শক বলেন, “এখন পাশ করালেও ফাইনালে ওই ছাত্রেরা পাশ করতে পারবে না। যা সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা ছাত্রদের ভালর জন্যই।”
স্কুল পরিদর্শক এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কথায় বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের একাংশ অবশ্য আগেই আন্দোলন থেকে সরে যান। তাঁদের বক্তব্য, “অন্যায্য ভাবে পাশ করানোর দাবি মেনে নিলে আখেরে পড়াশোনার ক্ষতি হবে। অন্য ছাত্রদের মধ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই জানিয়েছেন, এ দিন বিক্ষোভে অভিভাবক ছাড়াও কয়েক জন বহিরাগতকেও দেখা গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় বহিরাগতদের ইন্ধন রয়েছে বলে স্কুল পরিদর্শক ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “যা হয়েছে, তার জন্য ছাত্রদের দোষ দিই না। তবে ছাত্রদের হয়ে যারা ঝামেলা করছে, তারা সুস্থ মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে না।”
আসানসোলের স্কুলে অবশ্য বিক্ষোভ-ঘেরাও হয়নি। তবে তৃণমূলের কাউন্সিলর ফেল করা দুই ছাত্রের অভিভাবককে নিয়ে টানা দেড় ঘণ্টা বসেছিলেন প্রধান শিক্ষকের ঘরে। ওই দুই ছাত্রকে পাশ করানোর দাবি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের উপরে চাপ সৃষ্টি করলেও ফল মেলেনি।
প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সাউ বলেন, “আমার ঘরে ঘণ্টা দেড়েক ধরে দু’জনকে পাশ করানোর জন্য দাবি জানাতে থাকেন ওঁরা। আমি অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিই, কাউকে পাশ করানো হবে না। সে কথা জানিয়ে দেওয়ার পরে সকলে ফিরে যান।”
কেন ফেল করা দুই ছাত্রকে পাশ করানোর দাবি নিয়ে স্কুলে গেলেন তৃণমূল কাউন্সিলর? দীপালিদেবী বলেন, “দু’জনকে পাশ করানোর জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কোনও ঘেরাও-বিক্ষোভ করিনি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.