নাটক: টাবু হেনরি দ্য ফিফ্থ
দেশ: নিউজিল্যান্ড
পরিচালক: ডেভিড লরেন্স
সাল: ২০০৯

গোল হয়ে সকলে বসে আছেন দর্শকাসনে। সামনে ছড়ানো মানুষ-শরীরের খণ্ডিত অংশ। একটা যুদ্ধক্ষেত্র। আসনের পাশে মাঝে মাঝেই রাখা আছে নরমুণ্ড, কঙ্কালের টুকরো। এক সময় যুদ্ধ শুরু হয়। হঠাৎ আলোকিত চার পাশ। ঠিক আপনার পিছনে রাখা বক্সটা থেকে ভেসে আসে তীক্ষ্ন চিৎকার। চার পাশে প্রবল তোলপাড় শুরু হয়। আপনি ভাল করে ভয় পাওয়ার আগেই দুলে ওঠে আপনার আসনটা! সম্পূর্ণ গ্যালারিটা ঘুরতে আরম্ভ করে। হ্যাঁ, মঞ্চ নয়, ঘুরতে থাকে দর্শকদের বসে থাকার গ্যালারিটা!
‘দর্শককে থিয়েটারের অংশ করে নিতে হবে।... গোটা নাট্যঘটনার মধ্যেই দর্শকও যে অভিনেতা, সেইটা আমাদের, মানে তথাকথিত মঞ্চ-শিল্পীদেরই, তৈরি করে নিতে হবে।’ নাটকটির নির্দেশকের এই কথার সূত্র ধরেই বোঝা যায়, কী ভাবে প্রযুক্তি-ব্যবহার একটি নাটকে সূক্ষ্ম সমকালীনতা চারিয়ে দিতে পারে।
নাটকের গল্পটা সকলেরই জানা। ইংল্যান্ডের ইতিহাস নিয়ে শেক্সপিয়রের লেখা অন্যতম নাটক। যে নাটকে দম্ভে ও রাজক্ষমতায় অন্ধ রাজা হেনরি পতনের দিকে এগিয়ে চলেন। রাজার কর্তব্য, রাজার নৈতিকতা নিয়ে কথাবার্তা ভাঙেগড়ে এ নাটকে। প্রায় ৪১৫-১৬ বছরের পুরনো নাটকটি যখন গণতান্ত্রিক নিউজিল্যান্ডে এসে পড়ে, কী ভাবে তার ছবি-ছন্দ পাল্টায়?
একটা নাট্যমুহূর্ত দিয়ে বলা যাক: হেনরি চতুর্থ অঙ্কে বলছেন ‘সাধারণ মানুষের হৃদয়ে কত শান্তি, কিন্তু রাজাকে তা বর্জন করতে হবে? কী আছে রাজার যা নেই সাধারণ মানুষের? শুধু আড়ম্বর ছাড়া?...’ এই সংলাপটা বলার সময় মঞ্চের দেওয়ালটা আলোকিত হয়ে ওঠে। মানে, ঠিক দর্শকের পিঠের দিকটা। দেখা যায় সারিবদ্ধ ভাবে রাখা আছে ফ্লুরোসেন্ট স্ক্রিন। সেই স্ক্রিনে হঠাৎ ফুটে উঠতে থাকে ছবি। পৃথিবীর নানা দেশের শাসকের ছবি। ছবি বদলাতে থাকে। ছবিতে রং পাল্টায় কখনও তা সিপিয়া, কখনও তা নেগেটিভ, কখনও লাল-সবুজ-কমলা।
রাজা মধ্যমঞ্চে সলিলকি-রত:
হাস্যকর এ সব রাজ-উপাধি, সিংহাসন...
এ সব নিয়ে কখনও যায় না নিশ্চিত ঘুম পাওয়া
যে ঘুম ঘুমায় ক্রীতদাস, রাজা বঞ্চিত সে ঘুম হতে...

এই বার্তাটা এই যে রাজা হেনরি আর আধুনিক শাসক মিলে গেল এটা এই থিয়েটার মুহূর্তে নির্মাণ করে এবং অব্যর্থ লক্ষ্যভেদ করে।
আর এক বিশেষ মুহূর্ত যুদ্ধ চলছে। তখন, বিভিন্ন দৃশ্যে যে যুদ্ধ-বিবরণ, তা মঞ্চের বিভিন্ন অংশে একই সময় ঘটতে থাকে। মানে, গোটা যুদ্ধটা এক বারে। গ্যালারিটা এই সময় ঘোরে। ফলে এক জন দর্শক একই সঙ্গে সবটাই দেখতে পাচ্ছেন, আবার কোনও নির্দিষ্ট জায়গাটাই খুব ভাল করে দেখতে পাচ্ছেন না। কিংবা, যে জায়গাটা দর্শকের পছন্দ তিনি সেটা বেছে নেন, নজর করে দেখেন। সঙ্গে চলে বিশেষ ভাবে নির্মিত সাউন্ড সিস্টেমে ধ্বনি প্রক্ষেপণ। মনে হয় যুদ্ধটা এসে পড়েছে একেবারে ঘাড়ের ওপর। যুদ্ধের রক্তপাত, উত্তেজনা সব এক লহমায় দৈনন্দিনতার সঙ্গে লগ্ন হয়ে যায়। গাজা, আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়ার যুদ্ধে অভ্যস্ত মানুষ নাটকটার সঙ্গে একাত্ম হয়ে যায়।
ছোট মঞ্চ। ৩৫ ফুট ব্যাস। সেই মঞ্চে ৪০ জন অভিনেতা একসঙ্গে দাঁড়ান, চলেন, কথা বলেন। শরীর দিয়ে তৈরি হয় যুদ্ধের সৈনিকের যূথবদ্ধতা। অ্যালেক্স গ্রেগ অভিনয় করেন রাজা হেনরির ভূমিকায়, ইনি নিউজিল্যান্ডে প্রবাদপ্রতিম, ইতিমধ্যেই ১৪টি শেক্সপিরীয় নাট্যে অভিনয় করেছেন। হেনরির অস্থিরতা, চিত্তবৈকল্য, ভয় এ সবের পাশাপাশি যুদ্ধের প্রাক্কালে গ্রেগ যখন বলেন:
হায় জীবন, সুন্দরী তুমি
যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিলে যদি
এ বার দাঁড়াও এক বার পান করি,
দেখি জীবন কাকে বলে
’,
মুহূর্তে একা হয়ে যাওয়া মানুষটা প্রকাশিত হয়। ওই সংলাপটা বলবার সময় চোখের সামনে দেখা যায় এক বিরাট মানুষের শরীরটা ভেঙে যাচ্ছে টুকরো হয়ে যাচ্ছে। লোকটা যেন এ যুদ্ধ চাইছে না। এর পরই সেই যুদ্ধ। নিউজিল্যান্ড-নিবাসী পৃথিবীখ্যাত ‘থিয়েটারফাইট কোরিয়োগ্রাফার’ অ্যালান হেনরি এ নাটকে অন্যতম অভিনেতাও বটে। তাঁর কোরিয়োগ্রাফিতে দৃশ্যগুলো লোমহর্ষক, তীব্র!
নাটকে ব্যবহৃত হয়েছে ঘূর্ণায়মান দর্শকাসন, ফ্লুরোসেন্ট স্ক্রিন, প্রোজেকশন, বিশেষ ভাবে নির্মিত সাউন্ড সিস্টেম, কিন্তু তার কোনওটাই আরোপিত নয়, চমক দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত নয়। সবটাই নাটকটার অনিবার্যতাকে প্রকাশ করেছে। বেন কিংসলে বলেছিলেন, ‘শেক্সপিয়র পড়ানো উচিত নয়, শেক্সপিয়র করা উচিত।’ অকল্যান্ড শেক্সপিয়র কোম্পানি ‘করে দেখাল’!

২ জুলাই ২০২৩
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও জিন ম্যাপিং-এর কল্যাণে জীবনের শেষ দিনটি এ বার মানুষের আগাম জানা থাকবে। বহু দিন বিতর্কের পর সরকার আজ এই আবিষ্কারের প্রয়োগ থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল। বাধ্যতামূলক ভাবে সমস্ত হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে, শিশু জন্মাবার সঙ্গে সঙ্গে তার বার্থ সার্টিফিকেটেই তার মৃত্যুর দিনটি লিখে দেওয়া হবে। মৃত্যুর সঙ্গে যে ছমছমে অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা জড়িয়ে আছে, তা না থাকায় মানুষের জীবন অনেক বেশি সুপরিকল্পিত ও ফলপ্রসূ হয়ে উঠবে বলে মনোবিদরা জানিয়েছেন। ‘যাচ্ছেন কবে?’ প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে ব্যক্তির নিজের মৃত্যুকে মেনে নেওয়ার এবং পারিপার্শ্বিকেরও মানিয়ে নেওয়ার একটা সুস্থ চেষ্টা হাত ধরাধরি করে চলবে। তারিখ এগিয়ে এলে ডাক্তার সুগার, প্রেশারের বিবিধ ওষুধ থেকে বিদায়ী মানুষটিকে মুক্ত করে দেবেন। উঠে যাবে খাবার, পানীয় সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। এই সময়েই উইল করা হবে। নমিনি নির্বাচন হবে শেষ মুহূর্তে। ফলে, সেবা- শুশ্রূষার প্রতিযোগিতা চলবে। মানুষটির পক্ষে তা ভাল, আসন্ন বিপত্নীক বা বিধবারা মান-অভিমান ভুলে যত্ন-আত্তি করবেন। শেষ বেলায় নিকটজনেরা বিদায় উৎসবের আয়োজন করবেন, কতকটা আসন্নপ্রসবাকে সাধ দেবার মতো। উপহার যেমন মানুষটি পাবেন, দেবেনও সকলকে কিছু না কিছু। শেষের দিনটিতে ডাক্তার- বাহিনী উপস্থিত ও তৈরি থাকবেন। প্রতিস্থাপনের কাজে বেশির ভাগ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুলে নেবেন।

প্রসাংঘাতিক বড়লোকিয়ানা
দেখানোর দশটা উপায়

১ ‘ভয় পেও না ভয় পেও না তোমায়
আমি মারব না’ এখন রাজনৈতিক দলের
ক্যাডার। মোলায়েম করে ভোটার কড়কাচ্ছে।

২ কাঠবুড়ো খুলেছে নিজের
রেস্তোরাঁ চেন। শুধু কাঠ দিয়ে
তৈরি খাবার পাওয়া যায়।


৩ হুঁকোমুখো হ্যাংলা ট্র্যাফিক পুলিশ,
দুই ল্যাজে ও দুই হাতে অন্য
পুলিশের চেয়ে দ্বিগুণ অ্যাক্টিভ।

৪ কিম্ভূত বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন
ডিজাইনার। এমন ‘মিক্স ও ম্যাচ’
উদ্ভট পোশাক কে ভাববে?


৫ ষষ্ঠীচরণ ভারতীয় অলিম্পিক কুস্তি দলের কোচ। খেলার ছলে হাতি লুফিয়ে প্র্যাকটিস করান।


৬ কমেডি রিয়েলিটি শো-র
জাজ হয়ে রামগরুড়ের ছানা
সবাইকে রেটে শূন্য দিচ্ছে।

৭ হাতুড়ে কাঁচি দিয়ে খচাখচ কেটে
দিচ্ছে এক্সট্রা ফ্যাট এবং স্লিমিং
সেন্টার খুলে লালে লাল।

৮ বোম্বাগড়ের রাজার
পিসি টি-টোয়েন্টির
থার্ড আম্পায়ার।


৯ চণ্ডীদাসের খুড়ো এখন গাড়িকে পেট্রলের
লোভ দেখিয়ে দৌড় করান। পরিবেশ রক্ষার
জন্যে নোবেল পাবেন-পাবেন করছেন।

১০ ট্যাঁশ গরু দলে দলে জুনিয়র ট্যাঁশ তৈরি
করার জন্য ইংরিজি মিডিয়ামে পড়াচ্ছে।
তারা গরু হচ্ছে কি না, বলা বারণ।

• দিল্লিতে পথ-দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন বছর একুশের তরতাজা তরুণ আনমোল জুনেজা, হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তাঁর মস্তিষ্কের মৃত্যু (ব্রেন ডেথ) ঘটেছে, এই অবস্থায় হৃদ্যন্ত্র সচল থাকলেও আনমোল আসলে মৃতই। একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে সন্তপ্ত পরিবারটির যেখানে শোকে বিমূঢ় হওয়ার কথা, সেখানে আনমোলের মা-বাবা জানালেন, সন্তানের দেহের যে ক’টি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই কাজে লাগবে অন্য রোগীদের, তাঁরা দিয়ে দিতে চান, কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে সে ব্যবস্থা করুন। ডাক্তাররা অবাক, কারণ এ দেশে রোগীর আত্মীয়রা ব্রেন ডেথ মানে যে মৃত্যু তা মন থেকে মানতে পারেন না, দেহদান তো দূরস্থান। আবার এও সত্য, একমাত্র ব্রেন ডেথ অবস্থাতেই রোগীর শরীর থেকে তুলে নেওয়া যায় নির্দিষ্ট কয়েকটি অঙ্গ, ঘড়ি ধরে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রতিস্থাপন করতে হয় অন্য শরীরে। আনমোলের দেহদানের কথায় এগিয়ে এসেছেন সব পরিজন-বন্ধু, কেউ বিন্দুমাত্র দ্বিধান্বিত হননি। তাঁর হার্টের ভাল্ভ, কিডনি, লিভার, হাড়, কর্নিয়া সহ মোট চৌত্রিশটি অঙ্গ কাজে লাগবে কুড়ি জন মরণাপন্ন রোগীর। বন্ধুদের আক্ষেপ, সময়ে গ্রহীতা না মেলায় হৃদ্যন্ত্রটি ব্যবহার করা যায়নি। ব্যক্তিগত শোককে ছাপিয়ে গিয়ে সমষ্টির কল্যাণ কামনা করতে পারা হৃদয়বান মানুষগুলি শ্রদ্ধার্হ, প্রণম্য।

• মায়া-সভ্যতার ক্যালেন্ডার মাফিক ত্রয়োদশ ‘বাখ্তুন’ (৫১২৫ বছরব্যাপী সময়কাল) শেষ হল ২১ ডিসেম্বর ২০১২, আর সে দিনই পৃথিবীরও অক্কা-দিবস, রটি গেল ক্রমে। ‘নিবিরু’ নামে একটা গ্রহের নাকি ধাক্কা মারার কথা ছিল পৃথিবীকে। নেহাতই গল্পকথা, কিন্তু খুল্লমখুল্লা আন্তর্জাল-প্রচারে দুনিয়া-জোড়া আতঙ্ক-আবহ। কুসংস্কার-জবজবে বিশ্ববাসীকে অভয় দিতে নাসার বিজ্ঞানীরা ভিডিয়ো নামালেন, কিন্তু ভয়-হুজুগে ভবিরা তাতে ভুলবে কেন? হলিউডে ‘২০১২’ নামে সুপারহিট ছবিতে লোকে কাঁপতে কাঁপতে গিলেছে স্পেশাল এফেক্ট-প্রলয়চিত্র, রাশিয়ান কয়েদখানায় বন্দিরা আচমকা ‘ফিয়ার সাইকোসিস’-এ পড়ে উদ্ভট ভয়তরাস-গ্রস্ত আচরণ করছেন, মস্কো ও মার্কিন মুলুকে লোকে বাজার সাপটে বাড়ির বেসমেন্ট ভরেছে দেশলাই-মোমবাতি-পিপেভর্তি জল-বাচ্চার খেলনা-পোষ্যের খাবার মায় পিস্তল-রাইফেলে, ব্রাজিলে ট্র্যাজেডি সার্ভাইভরদের জন্য তৈরি একটা গোটা কলোনি, আমেরিকায় ‘ব্লাস্ট শেল্টার’-এর দর আকাশছোঁয়া, আর কুড়ি শতাংশ চিনে জনতা ধরেই রেখে ছিলেন, প্রাণ গেল। শেষমেশ কিস্যু না হওয়ায় গত কাল থেকেই কিছু লোকের মুখ হাঁড়ি, ধুস, ক্রেডিট কার্ডের বিলটা সেই দিতেই হবে!
ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি, মোদের বাড়ি এসো
‘এক্সকিউজ মি’ বলে আগে মিহিন করে কেশো
নেট সার্ফিং শেষ হয়ে যাক, বসতে দেব চোখে
মাইল্ড বোসো, নাক ডাকালে বকবে অন্য লোকে


১¶ ঘুম স্টেশনের নামকরণ হয়েছে মহাত্মা
তেনজিং নোরগে রেল-থামুয়া উচ্চস্থান।

২¶ ঘুম=স্লিপ=হড়কানো। ইংরিজি-জানারা
হড়কে যেতে চান না।

• অনিদ্রা খুব বড় খাইয়ে। সে পুষ্টি টেনে নেয় যে কোনও ভাবনা থেকেই, ‘কিছুতেই ভাবব না’ ভাবনা থেকেও।
ক্লিফটন ফাডিমান

• এক এক জনের অনিদ্রা এত ভয়ানক তারা অফিসেও ঘুমোতে পারে না!
আর্থার বেয়ার

• অনিদ্রা রোগীর শেষ সান্ত্বনা: যারা ঘুমোচ্ছে, তাদের তুলনায় নিজেকে উঁচু মার্গের প্রাণী ভাবা।
লেনার্ড কোহেন

• রাত্রি ফ্ল্যাশব্যাকের বোন, তখন অতীতের সমস্ত ভুলরা বেড়াতে আসে, দাঁত খিঁচোয়। ডি.ডি.বারান্ট বলেছেন, ‘অনিদ্রার সেরা ওষুধ এক গ্লাস গরম অনুতাপ, হতাশা, আত্মঘৃণা।’ সবাই ঘুমোচ্ছে, আমি পারছি না, এই হীনম্মন্যতার সঙ্গে কেন যে শুধু তেতো স্মৃতিরাই, যা যা করে উঠতে পারিনি তার তীব্র আফসোসগুলোই দল বাঁধে, বলা শক্ত। জর্জ এলিয়ট বলেছিলেন, এই স্বৈরাচারী অতীত-নখ থেকে বাঁচতে যে ভাবে পারো উঠে অন্তত একটা সিগারেট ধরাও, বা শিস দাও, যে কোনও একটা বর্তমান কাজ দিয়ে বাঁধ গড়ে তোলো।

প্রঃ গর্গরেফ, অনিদ্রা কী?
গর্গরেফ: আশীর্বাদ, যা মানুষকে জীবনের সবচেয়ে বেশি মুহূর্ত সজ্ঞানে থাকতে দেয়।
প্রঃ অনিদ্রার বন্ধু কারা?
গর্গরেফ: দুশ্চিন্তা, মশামৃগয়া, হস্তমৈথুন। এখন, স্মার্টফোন।
প্রঃ শত্রু?
গর্গরেফ: ভূগোল বই, ‘এক্ষুনি উঠে বাজার যেতে হবে’ উপলব্ধি।
প্রঃ অনিদ্রা কার জন্ম দেয়?
গর্গরেফ: দুরূহ কাব্য, মানবশিশু




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.