|
|
|
|
ত্রিপুরায় মহিলাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
যে রাতে দিল্লিতে চলন্ত বাসে প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংস অত্যাচার করা হয়, তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মেয়েদের উপরে নির্যাতনের আর এক ঘটনা দেখেছে ত্রিপুরা। দিনের আলোয় এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে গাছে পিছমোড়া করে বেঁধে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল আগরতলা থেকে কিছু দূরে একটি গ্রামের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, মোবাইলে তাঁর ছবিও তুলে রেখেছে অনেকে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে এই ঘটনা রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে।
আগরতলা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে রাঙাপানিয়া গ্রামে এই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর সকালে। এর তিন দিন বাদে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় বিশালগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা মহিলা। সাত অভিযুক্ত ধরা পড়ে। কিন্তু ইতিমধ্যে তারা জমিনও পেয়ে গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মেয়েটির চরিত্র নিয়ে অপবাদ তুলে তাঁর স্বামীই স্থানীয় দুষ্কৃতীদের এই কাজ করতে বলে। মেয়েটির স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির কাউকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। এ কথা স্বীকার করেছেন সিপাহিজলা জেলার পুলিশ সুপার স্মৃতিরঞ্জন দাস। মেয়েটির শিশুকন্যা এখনও তার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের জিম্মায় রয়েছে বলেও অভিযোগ। তবে তিনি রয়েছেন তাঁর বাবা-মায়ের কাছে।
ঘটনায় রাজনৈতিক রংও লেগে গিয়েছে। শাসক দল সিপিএমের দাবি, অভিযুক্তেরা কংগ্রেসকর্মী। বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ভানুলাল সাহার বক্তব্য, স্থানীয় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক ও দুষ্কৃতীদের যোগসাজশেই ঘটনাটি ঘটেছে। রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র রতন চক্রবর্তীর অবশ্য বক্তব্য, “অভিযুক্তদের রাজনৈতিক রং স্পষ্ট নয়।” সেই সঙ্গে পাঁচ বছর ধরেই রাজ্যে মেয়েদের উপরে অত্যাচারে বাড়বাড়ন্তের অভিযোগে কংগ্রেস সরব।
বন্ধ মণিপুরে: অভিনেত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা নিয়ে উত্তাল মণিপুর। অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বন্ধ। এর মধ্যেই প্রতিবাদকারীদের উপর পুলিশ লাঠি চালালে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। পরিস্থিতির চাপে, দিল্লি রওনা হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাতে, চান্দেল বাজারের কাছে মহা ইউনিয়ন উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের মাঠে এক অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করছিলেন নায়িকা মোমোকো।
|
|
|
|
|
|