|
|
|
|
ভাগ চলবে না বাংলার রেলে, সরব অধীর |
অনমিত্র সেনগুপ্ত • নয়াদিল্লি |
বাংলার রেল মানচিত্রে ভাগ বসিয়ে ভাগলপুর ডিভিশন তৈরির উদ্যোগ শুরু হতেই আপত্তি জানালেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী।
মালদহ ডিভিশনের একাংশকে প্রস্তাবিত ভাগলপুর ডিভিশনে জুড়ে দিতে সক্রিয় রেল কর্তাদের একটি অংশ। তবে রেল বোর্ডেরই অনেকের এতে আপত্তি রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভাগলপুর ডিভিশন গঠন নিয়ে বোর্ডের বৈঠকে মালদহের অঙ্গচ্ছেদের সম্ভাবনার কথা শুনেই আপত্তি জানিয়ে নোট দিয়েছেন অধীর। ভাগলপুর ডিভিশন গঠনের পরিকল্পনাটি প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের। সেখানেই স্থির হয়েছে ভাগলপুরের ডিভিশনে মালদহ ডিভিশনের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে। এনডিএ জমানায় ভেঙেছিল বাংলার রেল-মানচিত্র। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি রেলমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান ন’টি জোনকে ভেঙেছিলেন ১৫টি করার সিদ্ধান্ত নেন। এনডিএ জমানায় নীতীশ কুমার পাসোয়ানের সেই সিদ্ধান্ত রূপায়ণে সক্রিয় হন। ঠিক হয়েছিল পূর্ব রেলের অধীনে থাকা ধানবাদ, দানাপুর এবং মোগলসরাই ডিভিশনকে নিয়ে তৈরি হবে নতুন জোন। যার সদর দফতর হবে হাজিপুর। সেই সময়ে বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাংসদরা এককাট্টা হয়ে সরব হলেও বিভাজন রোখা সম্ভব হয়নি।
কিন্তু ফের পশ্চিমবঙ্গের রেল মানচিত্রে ভাঙন বরদাস্ত করতে রাজি নন অধীরবাবু। তাঁর বক্তব্য, ভাগলপুর ডিভিশন হলে ক্ষতি নেই। কিন্তু, তাতে মালদহ ডিভিশনের কোন অংশ অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।
মালদহ ডিভিশনটি চালু করেছিলেন বরকত গনি খান চৌধুরী। ফলে, তার সঙ্গে স্থানীয় আবেগ জড়িত। রেল প্রতিমন্ত্রীর মতে, মালদহ ডিভিশনটি ছোট। তার মধ্যে একটি অংশ ভাগলপুরের জন্য নিলে কিছুই পড়ে থাকবে না। তাঁর আপত্তির কথা রেলমন্ত্রী পবন বনশলকেও জানিয়ে দিয়েছেন অধীরবাবু।
ভাগলপুর ডিভিশন গঠন নিয়ে দ্বিধা রয়েছে রেল বোর্ডেই। কয়েক জন রেল কর্তার বক্তব্য, এমনিতেই আর্থিক ক্ষতিতে চলছে রেল। তার মধ্যে আঞ্চলিক ভাগ যত বাড়বে তত প্রশাসনিক খরচ বাড়বে। সঙ্গে আরও জমিও লাগবে। অন্য একটি শিবিরের যুক্তি, বাজেটে নেওয়া এই সিদ্ধান্তটি পরে সংসদে পাশ হয়। ফলে বিষয়টি নিয়ে রেল মন্ত্রক আলোচনা না করলে সংসদ অমান্য করার অভিযোগ উঠত। আর ভাগলপুরে রেলের অনেক প্রকল্পের কাজ চলছে। তাই রেলের কাজ পর্যবেক্ষণের জন্য ভাগলপুরে ডিভিশন গঠন করতে হবে।
তাঁদের বক্তব্য, ডিভিশন বা জোন ছোট হলে নজরদারি বাড়ানো সম্ভব। ছোট জোন বা ডিভিশনে সময়ের সঙ্গে ট্রেন চালানোর খরচও কমে আসে। তাই অধীরের আপত্তি সত্ত্বেও ভাগলপুর ডিভিশন গঠন নিয়ে সক্রিয় হয়েছেন রেল কর্তাদের একাংশ। |
|
|
|
|
|