|
|
|
|
আগের চেয়ে সুস্থ আছেন তরুণী |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
রবিবারের সেই রাতের পর কেটে গিয়েছে প্রায় গোটা একটা সপ্তাহ। এই সাত দিনে অবশ্য মাঝে মধ্যেই সামনে এসেছে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর। তবে শনিবার চিকিৎসকেরা জানান, আগের থেকে বেশ কিছুটা সুস্থ রয়েছেন দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণী। ভেন্টিলেটর ছাড়াই শ্বাস নিচ্ছেন তিনি। এমনকী এ দিন সামান্য জল এবং আপেলের রস চুমুক দিয়ে খেয়েছেন। অল্পস্বল্প কথাও বলেছেন বছর তেইশের ওই প্যারামেডিক্যাল ছাত্রী।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এ দিন সফদরজঙ্গ হাসপাতালের মনস্তত্ত্ববিদেরা এক দফা কথা বলেন তাঁর সঙ্গে। এবং তাঁদের প্রত্যেকেরই ধারণা, ধর্ষণ ও চরম নিগ্রহের শিকার হওয়া সত্ত্বেও মানসিক দিক থেকে তিনি এই মুহূর্তে যথেষ্ট ‘সাহসী’। আলোচনার পুরো সময়টাই যথেষ্ট শান্ত ছিলেন। এমনকী, নিজের ভবিষ্যৎ নিয়েও যথেষ্ট আশাবাদী শুনিয়েছে তাঁকে। হাসপাতালের মনস্তত্ববিদ কুলদীপ কুমার বলেন, “এই মুহূর্তে মানসিক ভাবে মেয়েটি অসম্ভব স্থিতিশীল এবং আশাবাদী।” তবে একই সঙ্গে তাঁদের ধারণা, এত তাড়াতাড়ি তাঁর মানসিক অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিন্ত হওয়া উচিত নয়। তরুণীকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে এইমসের ট্রমা সেন্টারও।
শারীরিক দিক থেকে আগের থেকে বেশ খানিকটা সুস্থ থাকলেও উদ্বেগের কারণ কিন্তু কিছুটা হলেও রয়েই গিয়েছে বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। রিপোর্ট বলছে, তাঁর রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা কমেছে কিন্তু বেড়ে গিয়েছে বিলিরুবিনের মাত্রা। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে লিভার। সংক্রমণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসকেরা।
তবে অসুস্থতা সত্ত্বেও সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিজের জবানবন্দি দিয়েছেন ওই তরুণী। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্পূর্ণ নির্ভীক ভাবেই বয়ান দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে দাবি করেছেন, অপরাধীদের যত দ্রুত সম্ভব শাস্তি দিক বিচারব্যবস্থা। পুলিশ এ-ও জানিয়েছে, তরুণীর বয়ানের সঙ্গে মিলে গিয়েছে তাঁর পুরুষসঙ্গীর বয়ানও। রবিবার রাতে চলন্ত বাসে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্ত ছ’জন। তরুণীর বয়ান থেকে এমন কিছু সূত্র মিলেছে যা তদন্তের কাজে ‘ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ’ বলেই মনে করছে পুলিশের একাংশ। এখন তদন্তের পরিণতির অপেক্ষা।
|
|
|
|
|
|