আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কোচবিহারে। ২৭ ডিসেম্বর কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়িতে ঋণ মেলার উদ্বোধন করবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ওই সফর ঘিরে গোটা জেলা জুড়ে আঁটোসাটো নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করছে জেলা পুলিশ। পাশাপাশি, অনুষ্ঠানস্থলও নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার থেকে পুন্ডিবাড়ি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কড়া নিরাপত্তায় মঞ্চ বাধার কাজ শুরু হয়েছে। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, মঞ্চ তৈরি থেকে সামনে নিরাপত্তা ব্যারিকেড বসানো, দর্শকদের বসার জায়গায় ছাউনি তৈরির পরিকল্পনা পাকা হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে কাজে ৭ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়। শনিবার থেকে পূর্ত দফতরের অধীন রাস্তার খানাখন্দ মেরামত ও কোচবিহার সার্কিট হাউস রং করার পরিকল্পনাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। |
পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর ওই সফর নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে রাজি নন। কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর ওই সফরসূচির কথা স্বীকার করেছেন। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “২৭ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পুণ্ডিবাড়িতে ঋণ মেলার উদ্বোধন করবেন। ওই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।” ২৬ ডিসেম্বর বিমানে কলকাতা থেকে বাগডোগরা আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সব কিছু ঠিক থাকলে সড়ক পথে কোচবিহার যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানে সার্কিট হাউসে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। পর দিন ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টা নাগাদ পুণ্ডিবাড়িতে ঋণ মেলার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেখান থেকে সড়ক পথে জলপাইগুড়ি। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী প্রথম দিন চাপড়ামারিতেও থাকতে পারেন। কোচবিহারের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার কয়েক দিন আগে পুণ্ডিবাড়িতে গিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে এসেছেন। শুক্রবার পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র শঙ্কর নাথের নেতৃত্বে দফতরের আধিকারিকরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ওই মঞ্চ তৈরির কাজের তদারকি করেন।
বিভিন্ন প্রকল্পে ওই দিন সব মিলিয়ে ১১৫০ জন উপভোক্তা ঋণের চেক পাবেন বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে। বিএসকেভি প্রকল্পের উপভোক্তাদেরও বাড়তি সুবিধের কথা ঘোষণার সম্ভবনা রয়েছে। কোচবিহার শহর থেকে পুণ্ডিবাড়ির দূরত্ব প্রায় ১৫ কিমি। শহরের রাজ্য পূর্ত দফতরের আওতাধীন কিছু খানাখন্দ ছাড়া রাস্তার অবস্থা মোটামুটি ঠিকই রয়েছে। তবে রাজারহাট চৌপথী থেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় চলাচলের অযোগ্য। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাস্তার হাল ফেরানো হচ্ছে। কোচবিহার থেকে অন্য কোন বিকল্প রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় পুন্ডিবাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় কি না সে সব খতিয়ে দেখছেন প্রশাসনের কর্তারা। |