|
|
|
|
কংগ্রেস-তৃণমূলে কাজিয়া |
উন্নয়নের কাজে টাকা আনার কৃতিত্ব দাবি দু’পক্ষেরই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ আনার কৃতিত্ব কার, তা নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলের তরজা শুরু হয়েছে। বাঁধের উপর একটি রাস্তার শিলান্যাসকে কেন্দ্র করে ওই তরজায় জড়িয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ ও তৃণমূল মন্ত্রীরা। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে ফুলহার বাঁধের উপর রাস্তা তৈরির কাজের সূচনা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকার মণিপুরে ওই রাস্তার শিলান্যাস অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেচ দফতর। সেই সভায় হাজির ছিলেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়, পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও নারী ও সমাজ কল্যাণমন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। দুপুরে শিলান্যাস অনুষ্ঠানের আগেই সকালে বাঁধ লাগোয়া ৩টি এলাকায় জনসভার আয়োজন করে কংগ্রেস। সেখানে ছিলেন উত্তর মালদহের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর। ওই রাস্তার জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে অর্থ বরাদ্দ হলেও নিয়মের তোয়াক্কা না-করে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সাংসদ। নিয়মভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রের কাছে নালিশ জানানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
ফুলহার বাঁধের উপর মণিপুর থেকে দিল্লি দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তার জন্য ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ‘ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্ট ফান্ড তথা বিআরজিএফ-এর টাকায় ওই রাস্তার কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে দেড় মাস আগে। এর পরে ওই রাস্তার শিলান্যাস অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেচ দফতর। দুপুরে শিলান্যাস অনুষ্ঠানের আগেই বাঁধ লাগোয়া মামু মোড়, দৌলতনগর ও তেলজান্না এলাকায় ৩টি জনসভায় করেন কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নুর। তিনি দাবি করেন, সনিয়া গাঁধী, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ওই বরাদ্দ আদায়ের প্রক্রিয়া মসৃণ করিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, সেই কৃতিত্ব নিয়ে তৃণমূল রাজনীতিতে নেমেছে। সাংসদ বলেন, “সাধারণ মানুষের দাবি ছিল, আমি যেন এলাকায় গিয়ে সত্যি ঘটনা জানাই। সেই দাবি মেনেই ওদের জনসভা করে বিস্তারিত জানিয়েছি। বাঁধের এই রাস্তার জন্য আমি পদযাত্রা করেছি। অনেক লড়াই করেছি এলাকার মানুষ তা জানেন।”
সাংসদের অভিযোগ, মানসবাবু সেচমন্ত্রী থাকার সময়েই কেন্দ্র ওই প্রকল্পে বরাদ্দ করে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও বরাদ্দে কাজ হবে আর স্থানীয় সাংসদকে তা জানানো হবে না এটা নোংরামি ছাড়া কিছু নয়। দুপুরে ওই রাস্তার শিলান্যাস অনুষ্ঠানের পরে সেচমন্ত্রীর অভিযোগ, “কংগ্রেস মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যদি তাই হয় সাংসদ প্রমাণ দিন যে তার জন্যই বরাদ্দ এসেছে। এই সরকারই তদ্বির করে কেন্দ্র থেকে বরাদ্দ আদায় করেছে।” সাংসদকে আমন্ত্রণ না জানানো প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “এটা জেলা সেচ দফতরের অনুষ্ঠান। জেলার অফিসারেরা ভাল বলতে পারবেন।” পর্যটন মন্ত্রীর অভিযোগ, তৃণমূল যখনই ভাল কিছু করতে চাইছে তখনই কংগ্রেস সেখানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে চাইছে। সাংসদকে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রসঙ্গে সেচ দফতরের সংশ্লিষ্ট সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার শুভঙ্কর চক্রবর্তী বলেছেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই সব কাজ হয়েছে।” |
|
|
|
|
|