বলরামপুরের পুনরাবৃত্তি হল মানবাজারে। স্থানীয় গ্রন্থাগারের নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী না দিতে পারায় বিনা লড়াইয়ে জয়ী হতে চলেছে সিপিএম। ভোট হবে, তাই নাকি তাঁরা জানতেন নাএমনই দাবি দলীয় বিধায়ক থেকে শুরু করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।
বলরামপুরের ‘মালতী ভ্রমর সিং স্মৃতি পাঠাগার’-এর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। আর মানবাজার টাউন লাইব্রেরির পরিচালন সমিতির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ছিল শুক্রবার। বলরামপুরের মতো মানবাজারেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী তালিকা জমা পড়েনি। ফলে পরিচালন
সমিতিতে সিপিএম প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার পথ সুগম হয়ে গেল।
মানবাজার টাউন লাইব্রেরির পরিচালন সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল আগামী বছর ৬ জানুয়ারি। শুক্রবার দুপুর ২টোর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা। ওই সময়ের মধ্যে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী তালিকা জমা পড়েনি। এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ সিপিএমের পক্ষ থেকে মানবাজারে একটি মিছিল বার করা হয়। সিপিএমের পুরুলিয়া জেলা কমিটির সদস্য প্রদীপ চৌধুরী বলেন, “জনসমর্থন নেই বলে ওরা (তৃণমূল) প্রার্থী দিতে পারেনি। আমাদের দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। আমরা এই তথাকথিত পরিবর্তনের পরিবর্তন চাইছি।”
|
কেন প্রার্থী দিতে পারেননি?
মানবাজার ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবেন্দ্রনাথ মাহাতোর ব্যাখ্যা, “টাউন লাইব্রেরিতে যে ভোট আছে, তা-ই জানতামই না! শহরের দায়িত্বে থাকা নেতারা আমাকে এ বিষয়ে অবহিত করেনি।” ব্লক সভাপতি হিসাবেও এ সব ব্যাপারে খোঁজ রাখা তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, সে কথা মেনে নিয়ে তিনি বলেন, “রবিবার একটি স্কুলের নির্বাচন হবে। সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় খোঁজ নেওয়ায় ত্রুটি থেকে গিয়েছে।” একই সুর শোনা গিয়েছে মানবাজারের তৃণমূল বিধায়ক সন্ধ্যারানি টুডুর গলায়। তাঁর বক্তব্য, “টাউন লাইব্রেরিতে যে নির্বাচন আছে, দলের কেউ আমাকে খবর দেয়নি। কেন এমন হল, খোঁজ নিচ্ছি।”
মানবাজার টাউন লাইব্রেরির গ্রন্থাগারিকের দায়িত্বে থাকা তিমিরবরণ দত্ত জানিয়েছেন, নির্বাচনের যাবতীয় নিয়ম মানা হয়েছে। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সঙ্গে বিভিন্ন দফতরেও নির্বাচন সম্পর্কে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, “শুক্রবার একটি পক্ষের আটটি আসনের প্রার্থী তালিকা জমা পড়েছে। ২৬ তারিখ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। পাল্টা তালিকা জমা না পড়ায় এই প্যানেলকেই ওই দিন জয়ী বলে ঘোষণা করা হবে।” |