টুকরো খবর |
বহরমপুরে পিটিয়ে মারার অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
নেশামুক্তি ঘটায় তারা। সৌমেন বিশ্বাস (৩৪) নামে এক নেশাগ্রস্থ যুবককে ওই সেচ্ছাসেবী সংস্থায় ভর্তি করেছিলেন তাঁর পরিবার। অভিযোগ, অসুস্থ অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে সৌমেনকে বহরমপুর সদর হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরেই মারা যায় তিনি। এর পরেই উত্তেজিত জনতা ওই সংস্থায় ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সৌমেনের পরিবারের অভিযোগ, চিকিত্সার নামে ওই সংস্থায় প্রায়ই মারধর করা হত সৌমেনকে। এ দিন মারধরের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। বহরমপুর থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, বহরমপুরের খাগড়া ঘাটবন্দরে নেশাগ্রস্ত ও মানসিক রোগের চিকিত্সা কেন্দ্র নামে একটি বেসরকারি সংস্থা চলছিল। ঘটনার পর সংস্থার সকলেই পালিয়েছে। যারা ওই চিকিত্সা কেন্দ্রে ভর্তি ছিল তারাও পালায় বলে জানা গিয়েছে।
|
মজুরি নিয়ে বিবাদে যুবক খুন ঘুঘুপাড়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমকল |
মজুরির টাকা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে বিধানচন্দ্র মণ্ডল (২২) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। বাড়ি ইসলামপুরের কৃষ্ণপুর ঘুঘুপাড়া গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক বিধানের জমিতে আশুতোষ নামে এক যুবক কাজ করেন। বৃহস্পতিবার আশুতোষ বিধানের বাড়িতে মজুরির টাকা চাইলে এলে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। অভিযোগ, আশুতোষকে অপমান করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পর সন্ধ্যায় আশুতোষের বাড়ির সামনে দিয়ে বিধান যাওয়ার সময় তাঁকে ধারাল হাঁসুয়া দিয়ে কোপাতে থাকে আশুতোষ। ডোমকলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবর্ষি দত্ত বলেন, “অভিযুক্ত আশুতোষ পলাতক। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
|
পুলিশকর্মীর যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
২০০৩ সালের ২৯ জুলাই লালগোলার ময়া গ্রামের মহবুল শেখ নামে এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল রঞ্জিত বিশ্বাস ও এনভিএফ কর্মী বিজয় চৌধুরীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারদণ্ড দিল লালবাগের থার্ড ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক শেখ মহম্মদ রেজা। সরকার পক্ষের আইনজীবী মহম্মদ নকিবুদ্দিন বলেন, “শুক্রবার সাজাপ্রাপ্ত ওই দু’ জন ২০০৩ সালের ২৯ জুলাই লালগোলার ময়া মোড়ের পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। তাদের প্রহারে ঘটনাস্থলেই মহবুল শেখ মারা যায়। কিন্তু থানা ওই খুনের মামলা দায়ের না করায় আদালতে মামলা করা হয়েছিল।”
|
লরির ধাক্কায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল মোটর বাইক চালক-সহ তিন জনের। মৃতেরা হলেন সামাউন শেখ (৩০), আজিজুল শেখ (৩২) ও মজিবুর শেখ (৩৪)। নিহত সকলের বাড়ি রঘুনাথগঞ্জের মঙ্গলজন গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ ওই তিন যুবক বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে পিছন দিক থেকে আসা একটি লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
|
সশ্রম কারাদণ্ড
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
প্রতিবেশী এক মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর ঘটনায় শুক্রবার ভান্ডারখোলার বাসিন্দা লাল্টু শেখ নামে ব্যক্তিকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন কৃষ্ণনগর জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী। সরকারি আইনজীবী কুতুবউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, “২০১১ সালে ৬ অক্টোবর লাল্টু এক মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে সাড়া না দিলে তাঁর মাথায় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সে।”
|
কীটনাশকে মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
কীটনাশক খেয়ে ডলি সাহা (২২) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। বাড়ি খড়গ্রামের খেসর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই মহিলা বুধবার বিকেল নাগাদ কীটনাশক খান। পরিবারের লোকজন তাঁকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিত্সা চলাকালীন বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানে তিনি মারা যান।
|
দুষ্কৃতী তাণ্ডব
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে লুঠপাঠ চালাল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে কৃষ্ণনগরের অঞ্জনাপাড়ার বাসিন্দা পরিমল ঘোষের বাড়িতে ডাকাতি হয়। পরিমলবাবু বাড়িতে ছিলেন না। সস্ত্রীক শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে সোনার গয়না, কয়েক হাজার টাকা ও কাঁসার বাসনকোসন নিয়ে চম্পট দেয়।
|
কুপিয়ে খুন
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলডাঙা |
কুপিয়ে খুন হয়েছেন এক যুবক। নাম আব্দুর রব সামিম (৩৬)। বাড়ি বেলডাঙার বড়ুয়া অঞ্চলে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। শুক্রবার সকালে পুলিশ বিশুরপুকুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন অঞ্চল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের শরীরে ধারাল অস্ত্রের কোপের চিহ্ন ছিল। খুনের কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
|
যুবকের মৃত্যু
সংবাদসংস্থা • বহরমপুর |
মাদকাসক্ত যুবকের মৃত্যু ঘিরে খাগড়ায় একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থায় ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত জনতা। অভিযোগ, চিকিৎসার নামে যুবককে মারধর করা হত ওই সংস্থায়।
|
দাসখত রেখে দল নয়: সোমেন |
ফের কংগ্রেস নেতার আমন্ত্রণে সাড়া দিলেন তৃণমূল সাংসদ সোমেন মিত্র। মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস সাংসদ মান্নান হোসেনের পারিবারিক অনুষ্ঠানের পরে এ বার বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজি আব্দুল গফ্ফরের মেলা। বাদুড়িয়ায় শুক্রবার ভারত মেলা উদ্বোধন করতে এসে সোমেনবাবু বলেছেন, “কারও কাছে দাসখত রেখে দল করি না! কখনও সৎ সাহসেরও অভাব হয়নি। তাই দল পরিবর্তন করতে হলে সকলকে জানিয়ে করব।” বাদুড়িয়ার বর্ষীয়ান কংগ্রেস বিধায়ক তথা মেলা কমিটির সভাপতি গফ্ফরের পাশে বসে সোমেনবাবু বলেন, “বাদুড়িয়া ভারত মেলার জন্মলগ্ন থেকেই আছি। আমরা দু’জনে দুটো আলাদা দল করলেও গফ্ফরদা আমার রাজনৈতিক গুরু। ওঁর ডাক উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।” সোমেনবাবুর এই কার্যকলাপ জল্পনা উস্কেছে তৃণমূল ও কংগ্রেসে। তবে সাংবাদিকেরা শিখা মিত্রের প্রসঙ্গ তুলতেই ক্ষুব্ধ হন সোমেনবাবু। ভারত মেলার সম্পাদক কাজি
আব্দুল রহিম দিলু বলেন, “বাদুড়িয়ায় থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালের সম্পূর্ণ ভবন তৈরিতে আর্থিক সাহায্য করাই মেলার উদ্দেশ্য।” বাদুড়িয়ার দিলীপ কুমার স্কুল ময়দানে মেলা চলবে পয়লা জানুয়ারি পর্যন্ত।
|
তেহট্ট তদন্ত |
নদিয়ার তেহট্টে পুলিশের গুলিতে এক জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের মাথায় থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ অজয়নাথ সেন। ছ’মাসের মধ্যে কমিশনকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বলে জানান এক সরকারি মুখপাত্র। বিচার্যের মধ্যে রয়েছে গত ১৪ নভেম্বরের ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, গুলি না-চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যেত কি না ইত্যাদি। |
|