কলকাতা নয়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে দুই মন্ত্রীকে ‘মাটি কামড়ে’ জেলায় পড়ে থাকার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাতে নদিয়া সফরে এসে সার্কিট হাউসে দলীয় নেতানেত্রীদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে তিনি জেলার দুই মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস ও পুণ্ডরীকাক্ষ সাহাকে “যত বেশি সম্ভব জেলায় থাকো” বলে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নেত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দুই মন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটিও গড়ে দিয়েছেন। কমিটিতে জেলার ১৩ জন বিধায়ক ও ২ জন সাংসদ ছাড়াও থাকবেন দলের রাজ্য সম্পাদক গৌরীশঙ্কর দত্ত, বাণী সিংহ রায়, রাধানাথ বিশ্বাস ও জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা চঞ্চল দেবনাথ। সাংগঠনিক বিষয়ে আলাপ আলোচনার জন্য এই কমিটি প্রতি দশ দিন অন্তর বৈঠকে বসবে। সাংগঠনিক পরিস্থিতি দেখভালের পাশাপাশি নেত্রীর নির্দেশমতো কমিটি সমন্বয় সাধনের কাজও করবে। দুই মন্ত্রী ছাড়াও নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ, কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ ও তেহট্টের পরাজিত প্রার্থী গৌরীবাবুকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। গৌরীবাবু ‘বিশেষ’ গুরুত্ব পাওয়ায় খুশি তাঁর অনুগামীরা।
সূত্রের খবর, গোষ্ঠীবিবাদে জেরবার নদিয়াতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভাল ফল করাটা তৃণমূলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই নেত্রী কৌশলে দুই বিপরীত মেরুর নেতা উজ্জ্বল বিশ্বাস ও পুণ্ডরীকাক্ষ সাহাকে সমান গুরুত্ব দিলেন।
জেলা সভাপতির পদে পুণ্ডরীকাক্ষবাবু বসার পরপরই জেলার উজ্জ্বল ঘনিষ্ঠ বেশিরভাগ ব্লক সভাপতিরই বদল ঘটে। আর তা মোটে ভালভাবে নেননি উজ্জ্বলবাবুর শাগরেদরা। অনেকেরই ধারণা, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই পরপর বেশ কয়েকটি স্কুল নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। সেই সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নেত্রী তাই কমিটিতে সমস্ত গোষ্ঠীর নেতাদেরই সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। |