ছাত্র পরিষদ এবং এসএসএফ আই সর্মথকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে শুক্রবার দুপুরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল জিয়াগঞ্জের রানি ধন্যা কুমারী কলেজ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জও করতে হয় বলে জানা গিয়েছে। অধ্যক্ষ জানান, শনিবার কলেজে পঠনপাঠন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ইগনুর পরীক্ষা চলবে। তাণ্ডবে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শনিবার কলেজের পরিচালন সমিতির মিটিং করা হবে।
এ দিন দুপুরে কলেজের ‘কালচারাল সাব কমিটি’র মিটিং নিয়ে দুই সংগঠনের বচসা ক্রমে হাতাহাতিতে গড়ায়। আহত হন ৮ জন। তাঁদের মধ্যে এক জনকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রের নাম আরিফ শেখ। তিনি এসএফআই কলেজের ছাত্র সংসদের পূর্বতন সাধারণ সম্পাদক।
কলেজের অধ্যক্ষ অজয় অধিকারী বলেন, ‘‘আমাকে এস এই আই-এর দালাল বলে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করে ঘণ্টা দুয়েক ঘেরাও করে রাখে ছাত্র পরিষদের সর্মথকেরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় কংগ্রেসের স্থানীয় জনা পনেরো কর্মী। ৫০-৬০ জনের মারমুখি দল কলেজে তাণ্ডব চালায়। তাদের মধ্যে কয়েকজন মদ্যপ ছিল। প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে তারা ধাক্কাও দেয় বলে শুনেছি।’’
ওই কলেজে ইগনুর দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক গিরিধারী সাহা বলেন, “ওই ধুন্দুমার কাণ্ড যখন চলছে তখন কলেজের তিন তলায় প্রায় দেড়শো জন ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা চলছিল।” কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের শাঁওনী সিংহরায়। তিনি বলেন, “শিক্ষাত্রে এমন ঘটনা কাম্য নয়। এ রকম ঘটে থাকলে তার নিন্দা করছি।” এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ছাত্র সংসদ আমাদের, কালাচারাল সাব কমিটিও আমাদের। তাই ওই কলেজের স্যোসাল অনুষ্ঠান ও নবীনবরণের বিষয়ে কালাচারাল সাব কমিটির এ দিন মিটিং ছিল। সেই মিটিং-এ ছাত্রপরিষদের শ্রেণি প্রতিনিধিরা জবরদস্তি থাকতে চায়। ওই মিটিং-এ তাদের থাকতে দেওয়া যাবে না বলায় ওরা আক্রমণ করে।”
ছাত্রপরিষদের জেলা সহ-সভাপতি সুমন দাসের দাবি, “তৃতীয় বর্ষের ছেলেরা কলেজ থেকে চলে যাওয়ায় এসএফআই-এর ৯ জন ছাত্রপ্রতিনিধি কমে গিয়েছে। ফলে এখন দু’ পক্ষই সমান সমান। তাই আমাদের নিয়ে কেন কালচারাল সাব কমিটির মিটিং করা হবে না? এই কথা অধ্যক্ষকে বলতে যাওয়ায় তাঁর মদতে এসএফআই-এর দুষ্কৃতীরা আমাদের মারধর করে।” |