সৈকত শহর দিঘায় অবশেষে নিকাশি ব্যবস্থা প্রকল্প তৈরির কাজে নামল দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। শুক্রবার দুপুরে নিউ দিঘায় প্রকল্পের উদ্বোধন করেন দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব দেবাশিস সেন। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অখিল গিরি, অতিরিক্ত জেলাশাসক মলয় হালদার, পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন, কাঁথির মহকুমাশাসক সুমিত গুপ্ত, পরিবেশ দফতরের আধিকারিক অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখরা। পষর্দের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেন পাল জানিয়েছেন, ৪১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকার এই প্রকল্প আগামী দু’বছরের মধ্যে শেষ করা হবে। দিঘায় সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন হোটেল, লজ-সহ সরকারি গেস্ট হাউসের জল নিষ্কাশন নিয়ে অসুবিধা রয়েছে। পাশাপাশি অল্প বৃষ্টিতেই শহরের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এ দিন প্রকল্পের উদ্বোধনের আগে নিউ দিঘায় মৎস্য দফতরের অতিথিশালায় দিঘা ,তাজপুর ও মন্দারমনির হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন দেবাশিসবাবু। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অখিল গিরি-সহ জেলা ও পরিবেশ দফতরের আধিকারিকরা। বৈঠক শেষে দেবাশিসবাবু জানান, ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি দিঘায় তিন দিন ব্যাপী ‘সমুদ্র উৎসব’ হবে। অনুষ্ঠান স্থল, নিউ দিঘার হলিডে হোম মাঠ ও ওল্ড দিঘার দিশারি মাঠ। উৎসবের প্রস্তুতির জন্য একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার সভাপতি বিধায়ক অখিল গিরি। আগামী ২৬ ডিসেম্বর প্রস্তুতি কমিটির একটি বৈঠকও হবে। এ দিকে, মন্দারমনি ও তাজপুর পর্যটন কেন্দ্র ‘সমুদ্র উৎসব’ থেকে বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ ওই এলাকার হোটেলের কর্মকর্তারা। মন্দারমনি বিচ হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবদুলাল দাসমহাপাত্র ও তাজপুর হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক শান্তনু সাহা বলেন, “মন্দারমনি ও তাজপুর পযর্টন কেন্দ্র পর্ষদের অর্ন্তভুক্ত। তা সত্ত্বেও পর্ষদ এই দু’টি কেন্দ্রকে ‘সমুদ্র উৎসবে’ সামিল না করে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।’’
|
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী সংস্কার,
প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে মিটল গণ্ডগোল |
প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে গণ্ডগোল মিটল। তবে, শুক্রবারও কাজ শুরু হল না কেলঘাই-কপালেশ্বরী সংস্কার প্রকল্পে। এ দিন শুধু কেলেঘাই নদীর বাঁধ এলাকায় সমীক্ষা চালায় সেচ দফতরের একটি দল। আজ, শনিবার থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাঁধ তৈরির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধান। তৃণমূলের একাংশের বাধায় পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের ঢেউভাঙায় সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নদীর উপর বাঁধ তৈরির কাজ। স্থানীয় গুড়গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান আশিস পাত্রের বাধায় ওই বাঁধ তৈরির কাজ বন্ধ রাখতে হয় বলে জেলা পরিষদে অভিযোগ জানায় সেচ দফতর। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপের জেরে শুক্রবার সকালে ভগবানপুরের ওই এলাকায় পুলিশ বাহিনী যায়। তারপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। শুক্রবার সেচ দফতরের সমীক্ষক দল ঢেউভাঙা এলাকায় কেলেঘাই নদীর উপর বাঁধ নিয়ে সমীক্ষা চালায়। সেচ দফতরের পূর্ব মেদিনীপুরের নির্বাহী বাস্তুকার তাপস মাইতি শুক্রবার বলেন, “শুক্রবার সমীক্ষক দল গিয়েছিল। নির্বিঘ্নেই কাজ করেছে।” বাঁধ তৈরির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার তথা ভগবানপুরের মহম্মদপুর এলাকার তৃণমূল যুব নেতা নান্টু প্রধান বলেন, “আশা করছি শনিবার থেকে বাঁধ তৈরির কাজ ফের শুরু করা যাবে।” পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা বলেন, “ঢেউভাঙায় বাঁধ তৈরির কাজ নিয়ে সমস্যা মিটেছে। চণ্ডীয়া নদী সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করা নিয়ে আলোচনায় বসতে আগামী ২৭ ডিসেম্বর ময়নার মগরা গ্রাম পঞ্চায়েতে সভা ডাকা হয়েছে।”
|
পূর্বে দশটি নতুন ফেরিঘাট চালুর সিদ্ধান্ত |
জলপথে যাতায়াতের জন্য সরকারি ভাবে আরও ১০টি নতুন ফেরিঘাট চালুর সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। জেলার বিভিন্ন নদীপথ ছাড়াও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সঙ্গে যোগাযোগকারী এই সব ফেরিঘাট দ্রুত চালুর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা বলেন, “জেলার বেশ কিছু এলাকায় নদীপথে বিক্ষিপ্ত ভাবে নৌকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ওই সব এলাকায় সরকারি ভাবে ফেরিঘাট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় জেলা পরিষদের অধীনে মোট ২১টি ফেরিঘাট চালু রয়েছে। এই সব ফেরিঘাটে যাত্রী পরিবহণ করতে ফেরিঘাট লিজ দেওয়া হয়। তা থেকে জেলা পরিষদের আয় ভালই। পাশাপাশি যাত্রী পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করতে, নিরাপত্তার জন্য নজরদারি চালাতে আরও ১০টি জায়গায় সরকারি ভাবে ফেরিঘাট চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন দশটি ফেরিঘাট হল নন্দীগ্রামের কেন্দেমারি-হলদিয়ার নয়াচর, দীনবন্ধুপুর-হলদিয়ার রায় রায়চক, চরকেন্দেমারি-শ্যামসুন্দরচক, রানিচক-বালুঘাটা, কেন্দেমারি-কচুবেড়িয়া, নয়াচর-চরকেন্দেমারি ভায়া হলদিয়া টাউনশিপ, নয়াচর-দুর্গাচকের পাতিখালি খাল, মহিষাদলের দনিপুর, নারায়ণপুর-মায়াচর, ময়নার নৈছনপুর-নন্দকুমারের সাওড়াবেড়িয়া জালপাই ও কোলাঘাটের বৃন্দাবনচকে পুরোনো কাঁসাই নদীর ফেরিঘাট।
|
শেষ হল জনস্বাস্থ্য ও কৃষি মেলা |
আনন্দপুর জনস্বাস্থ্য ও কৃষি মেলা শেষ হল বৃহস্পতিবার। ১০ তারিখ মেলা শুরু হয়। প্রতিদিনই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। স্বাস্থ্য শিবির ও কর্মশালায় যোগ দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। এছাড়াও কৃষি বিষয়ক আলোচনাসভায় উন্নত কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মেদিনীপুর মহকুমার মণ্ডপ, প্রতিমা ও পরিবেশের জন্য সেরা পুজোকমিটিগুলিকে পুরস্কৃত করা হয়। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানে ছিলেন কেশপুরের বিডিও জামিল আখতার ও আনন্দপুর থানার ওসি উত্তম দেবনাথ। |