|
|
|
|
ক্ষোভ গোপীনাথপুরে |
রাস্তা সংস্কারে উদাসীন প্রশাসন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
প্রায় ২২ কিলোমিটার লম্বা রাস্তার দেড় কিলোমিটারে পিচ উঠে বেরিয়ে গিয়েছে ছোট-বড় গর্ত। সেই গর্তে গাড়ির চাকা ঢুকে প্রায়শই ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। পরিস্থিতি দেখে খড়্গপুর ২ ব্লকের বিডিও একাধিক বার খড়্গপুরের মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও হয়নি সংস্কার। খড়্গপুরের গোপীনাথপুরের কাছে জামনা-বারবেটিয়া রাস্তার হাল যেমন ছিল, আছে তেমনই। |
|
ভাঙাচোরা সেই রাস্তা। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
প্রায় ২২ কিলোমিটার লম্বা জামনা-বারবেটিয়া রাস্তাটির আশপাশে রয়েছে গোপীনাথপুর, চকগোবিন্দ, দুজিপুর প্রভৃতি এলাকা। কয়েক বছর আগে পুরো রাস্তাটিই বেহাল হয়ে পড়েছিল। এক সময় এই রাস্তার উপর দিয়ে বাস চালানোর ঝুঁকি নিতে চাইতেন না চালকেরা। তখন বিভিন্ন মহল থেকে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে জেলা প্রশাসনের কাছে দরবার করা হয়। পরিস্থিতি দেখে রাস্তা সংস্কারও করা হয়। অভিযোগ, পরিকল্পনার অভাবে সে কাজ হয়েছে নিম্ন মানের। ফলে কয়েক মাস যেতে না যেতেই রাস্তার বিভিন্ন অংশে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। গোপীনাথপুরের কাছে প্রায় দেড় কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পিচ উঠে ছোট বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। সন্ধের পর তা বাড়ছে। অথচ শুধু সবং, মোহাড়, পটাশপুর-সহ বিভিন্ন রুটের বাসই নয়, দিনভর এই রাস্তা দিয়ে বহু ট্রেকার, লরিও চলাচল করে। গোপীনাথপুরের কাছের রাস্তাটি যে সংস্কারের প্রয়োজন আছে তা মেনে নিয়ে বিডিও সোমা দাস বলেন, “ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার মহকুমাশাসককে জানিয়েছি। ফের জানাব।”
রাস্তা সংস্কার নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজাও। সিপিএম পরিচালিত জেলা পরিষদকে দায়ী করে জেলা তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি বলেন, “কয়েকবছর আগেই জামনা-বারবেটিয়া রাস্তা সংস্কার হয়েছিল। অথচ, কয়েক মাস যেতে না যেতেই রাস্তার বিভিন্ন অংশে ফের খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্যই এই পরিস্থিতি।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। রাস্তা সংস্কারের দাবি তুলেছেন বাস মালিকেরাও। জেলা বাস ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সম্পাদক শিবু সরখেল বলেন, “রাস্তায় খানাখন্দ থাকলে বাস চালানোয় সমস্যা হয়। দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও থাকে। প্রশাসনের শীঘ্রই রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা করা উচিত।”
বিদ্যুতের দাবি। বিভিন্ন দাবিতে শুক্রবার বিদ্যুৎ দফতরের খড়্গপুর ডিস্ট্রিবিউশন ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজারের কাছে স্মারকলিপি দিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ পাওয়ারমেনস্ ইউনিয়নের মেদিনীপুর জেলা কমিটি। নেতৃত্বে ছিলেন নারায়ণ অধিকারী, মানস সিংহ, পঙ্কজ মণ্ডল প্রমুখ। অস্থায়ী কর্মীদের মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়া, দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য ‘শাট-ডাউন’ প্রক্রিয়া অনুসরণ বাধ্যতামূলক করা-সহ ১৭ দফা দাবি জানানো হয়েছে।
|
|
|
|
|
|