|
|
|
|
আজ শুরু জেলা সম্মেলন |
ফ্রন্টের অন্দরে কথা বলার অধিকার চায় ফব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ছোট শরিক। তাই ফ্রন্টের অন্দরে সিপিএম তাদের সে ভাবে গুরুত্ব দেয় না বলে অভিযোগ। দলের জেলা সম্মেলন শুরুর আগে তাই ফ্রন্টের অন্দরে কথা বলার অধিকারই দাবি করলেন নেতৃত্বের একাংশ। আজ, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ফরওয়ার্ড ব্লকের সপ্তম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন। ডেবরার বালিচকে এই সম্মেলন চলবে কাল, রবিবার পর্যন্ত। সম্মেলন উপলক্ষে এক প্রকাশ্য সমাবেশেরও আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর দুই সদস্য নিশিকান্ত মেহেতা এবং হাফিজ আলম আনসারি।
পশ্চিম মেদিনীপুরের সব ব্লকে ফরওয়ার্ড ব্লকের সংগঠন নেই। তা-ও দলের জেলা কমিটিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। এক সময় এই দ্বন্দ্ব চরম আকার নেয়। সম্মেলনেও এর আঁচ পড়তে পারে বলে মনে করছেন দলেরই একাংশ কর্মী। ফরওয়ার্ড ব্লকের ষষ্ঠ জেলা সম্মেলন হয়েছিল ২০০৯ সালে। মেদিনীপুর শহরে। সেই সম্মেলন থেকে সুকুমার ভুঁইয়াকে জেলা সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। কয়েক মাস আগে অন্য কয়েকটি জেলার সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটিও ভেঙে দেন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে দলের সপ্তম সম্মেলন হতে চলেছে। যেখানে সব মিলিয়ে প্রায় ২৭০ জন প্রতিনিধি যোগ দেবেন। জেলার ২৯টি ব্লকের মধ্যে ১৯টি ব্লকে দলের সংগঠন রয়েছে বলে দাবি নেতৃত্বের। তবে জেলা সম্মেলন শুরুর আগে এই সব ব্লকে লোকাল কমিটির সম্মেলন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে সব লোকাল কমিটির সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি বলে দলেরই এক সূত্রে খবর। যদিও জেলা নেতৃত্বের দাবি, ১৯টি লোকাল কমিটির মধ্যে ১৬টির সম্মেলন হয়েছে। শালবনি-সহ বাকি ৩টি লোকাল কমিটির সম্মেলন পরে হবে। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য সুকুমার ভুঁইয়ার কথায়, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। এ সব অপপ্রচার। প্রতিকূল পরিস্থিতির জেরেই ৩টি এলাকায় লোকাল কমিটির সম্মেলন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।” সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ওই নির্বাচনের কয়েকটি বিষয় নিয়ে সম্মেলনে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেশি আসনের দাবি জানিয়ে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএমের উপরও চাপ বাড়ানো হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এ বার বেশি আসনের দাবি যে তাঁরা জানাবেনতা মানছেন সুকুমারবাবুও। তাঁর কথায়, “এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের সংগঠন শক্তিশালী হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা আগের থেকে বেশি আসন দাবি করব। সিপিএম বড় দাদা। ওরা যা বলবে, তাই-ই মেনে নিতে হবেএমনটা আর হবে না। আমরা চাই, ফ্রন্টের অন্দরে সব শরিক দলেরই কথা বলার অধিকার থাকুক। না-হলে তৃণমূল সহ বিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করা যাবে না।” |
|
|
|
|
|