ইডেনে ভারত-পাক ম্যাচের বাকি আর দিন দশেক। কিন্তু ওই ম্যাচের টিকিট বন্টন নিয়ে রাজ্য সরকার এবং সিএবি-র মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়ে গেল। সাধারণ দর্শকদের মধ্যে মাত্র হাজার তিনেক টিকিট কী ভাবে বিক্রি হবে, তার পুরো দায়ভার সিএবি-র ‘কোর্টে’ ঠেলে দিল রাজ্য সকার।
সিএবি হিসেব কষে দেখেছিল, ইডেনের দর্শকাসন কমে আসায় যা অবস্থা, তাতে খুব বেশি হলে হাজার তিনেক টিকিট সাধারণ দর্শকদের জন্য ছাড়া সম্ভব। কিন্তু তা কাউন্টার থেকে বিক্রির বদলে সিএবি চাইছিল, ‘লটারির’ মাধ্যমে বন্টন করতে। যা আট বা নয়ের দশকে দেখা যেত ময়দানে। কারণ, তাতে ঝামেলা এড়ানো সম্ভব। কিন্তু রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র শুক্রবার সিএবি কর্তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, রাজ্য সরকার কোনও ভাবেই এ সবের মধ্যে থাকবে না। সিএবি সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “ক্রীড়ামন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, সরকার টিকিট বিক্রির দায়িত্ব নেবে না। যা করতে হবে, সিএবি-কেই করতে হবে।” সব মিলিয়ে পুরো ব্যাপরটাই এখন বিশ বাঁও জলে। সিএবি কর্তারা বুঝে উঠতে পারছেন না এত কম সময়ের মধ্যে অন্য কোন বিকল্প বাছা সম্ভব কি না।
সিএবি কর্তাদের তরফে রাজ্য সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছিল যে, অতীতে এ জিনিস হয়েছে। সরকারই দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু ক্রীড়ামন্ত্রী এ দিন সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন, দফতরে যাঁরা আছেন তাঁরা কেউই এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ নন। একটাই উপায় কর্তাদের বাস্তবসম্নত মনে হচ্ছে। কড়া পুলিশ প্রহরায় ওই তিন হাজার টিকিট সাধারণকে বিক্রি করে দেওয়া।
পাশাপাশি ভারত-পাক ম্যাচে উপস্থিত থাকার জন্য এ দিন মহাকরণে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিমন্ত্রণ করে এলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে ম্যাচের দিন ইডেনের অনুষ্ঠানের ‘ব্লু প্রিন্ট’ও দেওয়া হল। দু’দেশের অধিনায়কদের গল্ফ কার্টে করে ঘোরানো ছাড়া আতসবাজির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। রাষ্ট্রপ্রতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে বিশেষ রৌপ্যমুদ্রার উন্মোচন ঘটানো হবে। যা সাধারণরাও কিনতে পারবেন। |