ভারতের মাটিতে পা রাখার আগের দিনই গরমাগরম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ধোনিদের ওপর মানসিক চাপ বাড়ানোর খেলা শুরু করে দিল পাকিস্তান দল। শনিবার রাতে বেঙ্গালুরুতে এসে পৌঁছচ্ছেন মহম্মদ হাফিজরা। তার আগে শুক্রবারই তাদের তারকা স্পিনার সইদ আজমল হুঙ্কার ছাড়লেন, “ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য আমার আস্তিনে অনেক রকমের তাস লুকানো আছে।” ইংল্যান্ডের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যস্ত ধোনিদের কানে অবশ্য আজমলের এই ‘মাইন্ড গেম’ কতটা ঢুকবে সেটা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন আছে।
পাঁচ বছর পর তাদের প্রথম ভারত সফরে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের দিল্লির মাটি ছোঁয়ার কথা দুপুর তিনটে নাগাদ। নিরাপত্তার জন্যই সঠিক সময় সম্পর্কে গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা চলছে। লাহৌর থেকে এক ঘন্টার বিমানযাত্রায় দিল্লিতে পৌঁছনোর পর তাদের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হবে চার্টার্ড বিমানে। রাত ন’টা নাগাদ সেখানে পৌঁছনোর কথা পাকিস্তান দলের। মঙ্গলবার, বড়দিনে চিন্নাস্বামীতে শুরু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সিরিজ। দু’টি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ান ডে ম্যাচের সিরিজে নামার আগে অবশ্য প্রায় হুঁশিয়ারি দিয়ে পাক অফস্পিনার আজমল বলেছেন, “সচিন তেন্ডুলকরকে বোলিং করি বা বিরাট কোহলিকে, আমাকে নিজের দলের জন্য উইকেট নিতে হবে। ওদের ব্যাটিং বেশ ভাল, জানি। তাই আমাদের কাছে এটা বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমরাও সেই চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি।” |
গত এক বছর ধরে তিন ফর্ম্যাটের ক্রিকেটেই যিনি আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে সেরা তিন বোলারের মধ্যে জায়গা পেয়ে আসছেন, সেই আজমল ভারতের উইকেটে ভাল বোলিংয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী। পাকিস্তানি টিভি-তে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সত্যিকারের স্পিনাররা এই ধরনের উইকেটেই ভাল ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে তাদের জাত চেনাতে পারে।” বদলা নয়, তবে সিরিজ জিততেই আসছেন বলে জানান আজমল। তাঁর বক্তব্য, “ভারতে এসে ভারতকে সিরিজে হারানোটা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমরা ভারতে ভাল দল নিয়েই যাচ্ছি। লড়াই হবে।”
ভারত-পাক সিরিজ নিয়ে এ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহ থাকলেও ওয়াঘার ওপার থেকে যত পাক সমর্থক আসার কথা ছিল, তত আসবেন না। পাক বোর্ড এ দিন ভারতীয় বোর্ডকে জানিয়েছে, বেঙ্গালুরু ও আমদাবাদে পাকিস্তানি সমর্থকরা আসছেনই না। চেন্নাই ও কলকাতার ম্যাচের জন্য মাত্র ২৫টি করে টিকিট নিয়েছে পিসিবি। শুধু দিল্লিতে শেষ ম্যাচে প্রায় এক হাজার পাক সমর্থক আসবেন সিরিজের ফয়সালা দেখতে। |