লেসলি ক্লডিয়াসের আত্মার শান্তি কামনা করে আমার আজকের কলাম শুরু করছি। অলিম্পিকে তিনটে সোনা আর একটা রূপোজয়ী! খেলোয়াড় হিসেবে ময়দানে বড় হওয়ার সময় তাঁর অবদানের কথা আমি কম শুনিনি।
প্রায় কুড়ি বছর ধরে আন্তর্জাতিক হকিতে চূড়ান্ত আধিপত্য করে যাওয়ার কৃতিত্ব আর ক’জনের আছে? এর জন্য যে কী অপরিসীম অধ্যাবসায় প্রয়োজন, তা সবাই ঠিক বুঝবেন না। এ জন্যই তিনি আমাদের দেশের খেলাধুলোর অন্যতম সেরা কিংবদন্তি। ওঁর সঙ্গে বহু বার, বহু জায়গায় দেখা হয়েছে আমার, অনেক কথাও হয়েছে। কখনও নিজের কীর্তির কথা জাহির করতেন না। বরং জানতে চাইতেন ভারতীয় ক্রিকেটের কথা। আমরা দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য কী পরিকল্পনা করেছি, কী ভাবে কী করছি, এ সব নিয়ে ওঁর প্রচুর আগ্রহ ছিল। একজন খেলোয়াড়ের যে রকম সিংহহৃদয় হওয়া দরকার, ঠিক তেমনই ছিলেন উনি। মানুষকে ভালবাসতেও পারতেন। যাঁদের নিয়ে আমরা এই শহরের লোকেরা সারা পৃথিবীতে গর্ব করি, তাঁদের একজন চলে গেলেন। দেশ হারাল এক গ্রেট স্পোর্টিং হিরো-কে। দিনটা সত্যিই খুব দুঃখের।
এমন দিনেই অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেটে হারানো গর্ব কিছুটা হলেও ফিরে এল টি-টোয়েন্টি জয়ের মাধ্যমে। বৃহস্পতিবারের পারফরম্যান্সের পর যদি ভারত সিরিজটা শনিবার ২-০-য় জেতে, তা হলে বিন্দুমাত্র অবাক হব না। ইংল্যান্ডের এই দল ভারতকে রুখতে পারবে বলে মনে হয় না। তাতে অবশ্য অবাক হইনি। যা দেখে অবাক হয়েছি, তা হল পুনের উইকেট। ব্যাটিংয়ের জন্য একেবারে আদর্শ, টি-টোয়েন্টির জন্যও। সব মিলিয়ে ভেনু হিসেবে ক্রমশ উন্নতি করছে পুণের এই স্টেডিয়াম।
যুবরাজ বল করতে আসার আগে পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ইনিংসের গতি ঠিকঠাকই এগোচ্ছিল। প্রায় নয়ের গতিতে। যুবরাজের আক্রমণ শুরুর পর থেকে ওরা আর নিজেদের ম্যাচে ফেরাতে পারেনি। ম্যাচের সেরার পুরস্কারটা যুবিরই প্রাপ্য ছিল। আর একজনও বলার মতো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে অশোক দিন্দা। এই পারফরম্যান্স দেখানোর পর ও দলে নিয়মিত খেলার আশা করতেই পারে। সব ফর্ম্যাটেই দিন্দাকে নিয়মিত খেলানো উচিত। যথেষ্ট ফিট ও। সারা দিন দৌড়তে পারে। দিন্দাকে যদি নিয়মিত সুযোগ দেওয়া হয়, তা হলে ছেলেটার আত্মবিশ্বাসও বাড়বে। আরও ভাল পারফরম্যান্সও করতে পারবে ও।
এই দলটাই ভারতীয় ক্রিকেটের তারুণ্যের প্রতীক। আওয়ানা, রাহানেদের আরও একটু সময় দিলে আখেরে দেশের ক্রিকেটেরই উন্নতি হবে। মুম্বইয়ে টেস্ট হারের স্মৃতি ধোনিদের হয়তো কিছুটা চাপে রাখবে। তবে পুণের জয়ের পর চাপটা খুব একটা ক্ষতিকর হবে বলে মনে হয় না। |