রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় • উলুবেড়িয়া |
স্কুল ভবন তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। কিন্তু এখনও পঠনপাঠন চালু না হওয়ায় উলুবেড়িয়ার মহেশপুর এলাকার কচিকাঁচাদের প্রায় দু’কিলোমিটার দূরের গঙ্গারামপুর প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। মহেশপুরের বাসিন্দারা অবিলম্বে গ্রামের নতুন স্কুলটি চালু করার দাবি তুলেছেন।
প্রায় চার লক্ষ টাকা খরচ করে মহেশপুরে ‘বিপ্লবী নানু ঘোষ প্রাথমিক বিদ্যালয়’-এর ভবনটি নির্মাণ করে হাওড়া জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদ। কয়েক জন গ্রামবাসীই প্রথমে স্কুলটি গড়তে উদ্যোগী হন। |
গ্রামবাসীরা জানান, এই এলাকায় একটি হাইস্কুল তৈরির জন্য বছর দু’য়েক আগে এক ব্যক্তি ছয় শতক জমি দান করেন। কিন্তু হাইস্কুল না-হওয়ায় সেই জমিতে প্রাথমিক স্কুল গড়ার দাবি ওঠে। সেই দাবি মেনে রাজ্য সরকার এখানে স্কুল গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। স্কুলটি যাঁদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে, তাঁদের মধ্যে জলধর সিংহ বলেন, “আমাদের প্রচেষ্টার ফলে যদি বা স্কুলভবন তৈরি হল, কিন্তু পঠনপাঠনই চালু হল না।”
নতুন স্কুলে পঠনপাঠন চালু না হওয়ায় দত্তপাড়া, বাগপাড়া, কারকপাড়া, চার নম্বর কলোনি, মহেশপুর, পূর্বপাড়া প্রভৃতি এলাকার প্রায় ২৫০ জন ছাত্রছাত্রীকে যেতে হচ্ছে গঙ্গারামপুর প্রাথমিক স্কুলে। কিছু ছাত্রছাত্রী যাচ্ছে অন্য স্কুলেও। যেখানে নতুন স্কুলটি তৈরি হয়েছে, তার কাছেই বাড়ি শ্যামল মিস্ত্রির। তিনি বলেন, “প্রায় এক বছর হল স্কুলভবনটি তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। ছেলেকে অন্য স্কুলে পাঠাতে হয়।”
কেন চালু হল না নতুন স্কুল? উলুবেড়িয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহম্মদ নাসিরুদ্দিন বলেন, “জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদের সঙ্গে আমি একাধিকবার যোগাযোগ করেছি যাতে স্কুলটি চালু হয়। কিন্তু কেন স্কুলটি চালু হয়নি বলতে পারব না।” জেলা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজয় ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, “পঠনপাঠন শীঘ্র চালু করে দেওয়া হবে।” |