খানাকুলের অপহৃত যুবক উদ্ধার জগদীশপুর থেকে |
হাওড়ার জগদীশপুরের একটি দোকানের শাটার ভেঙে খানাকুলের কাছরা গ্রাম থেকে অপহৃত মুজিবর মণ্ডল নামে এক যুবককে উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতের ঘটনা। ওই দোকানের মালিক শেখ সরিফুলকে পুলিশ ধরতে না পারলেও এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সুকুমার সামন্ত নামে এক যুবককে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি বছর আঠারোর মুজিবর। দুপুরে তাঁর মা নাজিমা বিবিকে অচেনা নম্বর থেকে ফোনে জানানো হয়, মুজিবরকে অপহরণ করা হয়েছে। ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। নাজিমা বিবি থানায় বিষয়টি জানান। পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে জগদীশপুরে হানা দিয়ে আচ্ছন্ন অবস্থায় মুজিবরকে উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, ধৃত সুকুমার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে জগদীশপুরে থাকে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত জানিয়েছে আরও চার জনের সঙ্গে সে মুজিবরকে রাস্তা থেকে অপহরণ করেছিল। তবে কী কারণে, ওই যুবককে অপহরণ করা হয়েছিল তা জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে, মুজিবর এখনও জিজ্ঞাসাবাদের অবস্থায় নেই। বৃহস্পতিবার ধৃতকে আরামবাগ আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ৩ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
|
বিহার থেকে উদ্ধার হল চন্দননগরের ২ কিশোরী |
নিখোঁজ দুই নাবালিকাকে বিহার থেকে উদ্ধার করল চন্দননগর থানার পুলিশ। অভিযোগ, কাজ দেওয়ার নাম করে অসৎ উদ্দেশে তাদের নিয়ে গিয়েছিলেন এক মহিলা। বিহারের মতিহারি জেলার পিঁপড়াকোঠি এলাকার একটি বাড়িতে তাদের আটকে রাখা হয়েছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি। পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া কিশোরীদের এক জনের বাড়ি চন্দননগরের শুকসনাতনতলায়। অন্য জন স্থানীয় সস্তিপুকুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, গত ২৬ অগস্ট মৌসুমী সাউ নামে চন্দননগরের বৌবাজারের বাসিন্দা এক মহিলা কাজ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তাদের বিহারে নিয়ে যায়। মেয়েদের খোঁজ না পেয়ে গত ২৬ নভেম্বর চন্দননগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাদের বাড়ির লোক। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মাঝে এক বার মোবাইলে ওই কিশোরীরা বাড়িতে কথা বলেছে। ওই ফোনের সূত্র ধরেই গত ১৭ ডিসেম্বর বিহারে হানা দেন চন্দননগর থানার ৬ অফিসার। ওই রাজ্যের পুলিশের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার মেয়ে দু’টিকে নিয়ে চন্দননগরে পৌঁছন তদন্তকারীরা। মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পুলিশের অনুমান, মৌসুমী ওই দু’জনকে নিষিদ্ধপল্লীতে বিক্রির চক্রান্ত করেছিল। কিন্তু কোনও কারণে তা করতে পারেনি। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “অভিযুক্ত মহিলার খোঁজ চলছে। আর কারা ওই চক্রে জড়িত তাদেরও চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে।”
|
কারখানার নির্বাচনে হার আইএনটিটিইউসি-র |
রিষড়ার জয়শ্রী টেক্সটাইলসে সোল বার্গেনিং এজেন্ট নির্বাচনে ৮ দলের মধ্যে পঞ্চম স্থান পেল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। জিতেছে নকশালপন্থী শ্রমিক সংগঠন আইএফটিইউ (ইফটু)। শুক্রবার এখানে নির্বাচন হয়। কারখানা সূত্রের খবর, মোট ২১৯১টি বৈধ ভোট পড়ে। তার মধ্যে ইফটু পেয়েছে ৫৩৯টি ভোট। দুই নম্বরে থাকা সিটুর সংগ্রহে ৪৮১ ভোট। সেখানে আইএনটিটিইউসি পেয়েছে ২৭৪টি ভোট। তাদের পিছনে শুধু আপাত অখ্যাত তিনটি সংগঠন। আইএনটিটিইউসি-র ওই ইউনিটের সভাপতি সংগঠনের জেলা সভাপতি বিদ্যুৎ রাউথ নিজেই। প্রসঙ্গত, এক দশক আগে ইফটু-ই সোল বার্গেনিং এজেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়। তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আর নির্বাচন হয়নি। তার পরিবর্তে ৮টি সংগঠন মিলিত ভাবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের হয়ে মধ্যস্থতা করছিল।
|
হুগলি-চুঁচুড়া স্বামী বিবেকানন্দ জন্মসার্ধশতবর্ষ সমিতি ও হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার যৌথ উদ্যোগে জাতীয় বিবেকজ্যোতি মশাল দৌড়ের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। আগামী ২৩ ডিসেম্বর রবিবার কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ শিলাস্থল থেকে এই মশাল দৌড়ের আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন চেন্নাই শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের স্বামী কমলাত্মানন্দ ও স্বামী গৌতমানন্দ, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ পি টি ঊষা। প্রায় ২৬০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কলকাতায় স্বামীজির জন্মভিটা ও বেলুড় মঠ স্পর্শ করে ১২ জানুয়ারি এই দৌড় শেষ হবে চুঁচুড়া ময়দানে। সমিতির সম্পাদক অসীম কুমার দে জানান, এই দৌড়ে যোগ দেবেন এমন ৫০ জন তরুণ হুগলি থেকে ইতিমধ্যেই কন্যাকুমারিকা চলে গিয়েছেন।
|
শ্রীরামপুর গার্লস কলেজে জয়ী ডিএসও |
হুগলির শ্রীরামপুর গার্লস কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন ডিএসও। প্রশাসন সূত্রের খবর, শুক্রবার ২১টি আসনে ভোটের দিন ছিল। মনোনয়নপত্র তোলার দিন ছিল গত ১২ এবং ১৩ ডিসেম্বর। জমা দেওয়ার দিন ছিল ১৩ এবং ১৪ তারিখে। শুধুমাত্র ডিএসও মনোনয়নপত্র জমা দেয়। টিএমসিপি, এসএফআই বা অন্য কোনও সংগঠন মনোনয়নপত্র তুলতেই পারেনি। ২০০২ সাল থেকেই এখানে ছাত্র সংসদ ডিএসও-র দখলে। সংগঠনের দাবি, শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাস-ফেল তুলে দেওয়া, মাইনে বাড়ানো-সহ নানা আন্দোলন বছরভর করে তারা। সে কারণেই ছাত্রীরা পাশে রয়েছেন। |