হিমাচলেও ব্যর্থ খাতা খুলতে, ক্ষুব্ধ মমতা
ত্তরপ্রদেশের পর হিমাচলপ্রদেশেও মুখ থুবড়ে পড়ল তৃণমূলের সর্বভারতীয় হওয়ার চেষ্টা। হিমাচলের ৬৮টি আসনের মধ্যে ২৫টিতে প্রার্থী দিয়েও খাতা খুলতে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ফলে আগামী লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকেও বেশ ক’জন সাংসদকে নিয়ে যাওয়ার যে স্বপ্ন লালিত হচ্ছে তৃণমূলে, তা বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে কাল। দু’রাজ্যে ভোটপরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় দলেই প্রশ্ন উঠছে, বাংলার বাইরে পরিধি বাড়ানোর যে নীতি নিয়ে তৃণমূল চলছে, তা কি আদৌও ঠিক?
দলীয় সূত্রের খবর, হিমাচলে দলের এই ফলে ক্ষুব্ধ খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ওই রাজ্যে দলের নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ কে ডি সিংহ। তিনি ওই রাজ্যে অন্তত খাতা খোলার আশ্বাস দিয়েছিলেন দলকে। কিন্তু যে ভাবে তৃণমূল প্রার্থীদের জামানত জব্দ হয়েছে তা মোটেও ভাল ভাবে নেননি মমতা। ঘনিষ্ঠ মহলে মমতা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে কোনও রাজ্যে নির্বাচনে লড়ার আগে সব দিক বিবেচনা করে এগোতে হবে। দলে কে ডি-র বিরোধী এক নেতার কথায়, “দল যে ওই রাজ্যে একটি আসনও পাবে না তা সকলেই বুঝতে পারছিল। একমাত্র কে ডি সিংহ ছাড়া। রাজ্যে সেই অর্থে কোনও সংগঠন নেই। সমর্থক বা লোকবল কোনও কিছুই নেই। এ ভাবে নির্বাচনে জেতা সম্ভব নয়।” সব মিলিয়ে হিমাচলে লড়ার বিষয়ে দলকে ভুল পথে চালানোর অভিযোগও উঠেছে এখন কে ডি-র বিরুদ্ধে।
পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখলের পর সর্বভারতীয় দল হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নির্বাচনমুখী রাজ্যগুলিতে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৃণমূল। প্রাথমিক ভাবে মণিপুর, অসমের মতো কিছু রাজ্যে সাফল্যও আসে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ ও হিমাচলে দলের ব্যর্থতার পর আগামী বছরে যে ১০টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে তার মধ্যে ক’টি রাজ্যে লড়াই করবে তৃণমূল, তা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে কে ডি সিংহের ভূমিকা নিয়েও। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল তাঁর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.