|
|
|
|
বর্ষশেষের শহর |
মেয়েদের সুরক্ষায় এ বার বাড়তি জোর |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
দিল্লি ও পার্ক স্ট্রিটের ধর্ষণ-কাণ্ডের সাঁড়াশি চাপে নড়ে বসল কলকাতা পুলিশ। বড়দিন ও বর্ষবরণের কথা মাথায় রেখে মহানগরীতে মহিলাদের নিরাপত্তা জোরদার করতে আগাম ব্যবস্থা নিচ্ছে তারা। পানশালায় কেউ গোলমাল পাকালে তাঁকে বা তাঁদের যাতে সহজেই চিহ্নিত করা যায়, তার জন্য প্রতিটি পানশালাকে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যেখানে বড়দিন ও বর্ষবরণে হুল্লোড় হয়, সেখানে অতিরিক্ত নজরদারির ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট সব মহলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকায় যেমন অতিরিক্ত পুলিশ থাকবে, তেমনই শহরের বিভিন্ন হোটেলকেও অতিরিক্ত রক্ষী মোতায়েন করতে বলা হয়েছে। বিশেষত, দিল্লির ঘটনার পরে কলকাতা পুলিশ দেখেছে, এ শহরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ততটা জোরদার নয়। সমস্ত পানশালা ও রেস্তোরাঁয় সিসিটিভি নেই। এটাই চিন্তায় ফেলছে পুলিশকে।
দিল্লির ঘটনায় একটি গেস্ট হাউসের বাইরে সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখে চার্টার্ড বাসটিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। পার্ক স্ট্রিট-কাণ্ডেও হোটেলের পার্কিং লটের সিসিটিভি দেখেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। সে কথা মাথায় রেখেই এ বার শহরের সব পানশালায় সিসিটিভি বাধ্যতামূলক করছে পুলিশ। বড়দিনের আগেই সমস্ত পানশালায় তা বসাতে হবে।
এই নির্দেশের কথা জানাতেই শুক্রবার লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল শহরের বিভিন্ন পানশালার মালিকদের। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে শহরের অন্তত ১০০টি পানশালার মালিক কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। পানশালার মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, উৎসবের সময়ে তিনতারা এবং তার উপরের স্তরের পানশালাগুলিতে সিসিটিভি বসাতে হবে। যেখানে আগে থেকেই রয়েছে, সেখানে সিসিটিভি-র সংখ্যা বাড়াতে হবে। প্রতিটি পানশালাকে অধিক সংখ্যায় মহিলা ও পুরুষ রক্ষী রাখতে বলা হয়েছে। উৎসবের মরসুমে মদ বিক্রির সময়সীমাও বাড়িয়েছে আবগারি দফতর। সাধারণ পানশালাগুলি রাত দু’টো পর্যন্ত খোলা থাকবে। তিনতারা ও তার উপরের স্তরের পানশালাগুলি ভোর চারটে পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম বলেন, “আমরা যে নির্দেশিকা পানশালাগুলিকে দিয়েছি, তা না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কলকাতা পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছেন, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট পানশালার লাইসেন্সও বাতিল হয়ে যেতে পারে। |
|
|
|
|
|