মাঝদরিয়ায় একা হাতে তুফান সামলেছিল পাই পটেল। উত্তাল সমুদ্র, টলমল নৌকো এবং সফরসঙ্গী রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এ হেন অবস্থাতেও তীরে পৌঁছয় তার তরী। রূপোলি পর্দার মতো বাস্তবেও এ বার সেই ‘যাদু’ দেখালেন পাই ওরফে সূরজ শর্মা। প্রায় নাটকীয় ভাবেই কলেজ থেকে নিজের ‘বহিষ্কার’ হওয়া আটকালেন বছর
|
সূরজ শর্মা |
উনিশের সূরজ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সূরজ ‘লাইফ অফ পাই’ ছবির শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় প্রথম সেমেস্টারের অর্ধেকের বেশি ক্লাস করতে পারেননি। তার জেরে তাঁকে ‘বহিষ্কার’ করা হতে পারে, এমন ইঙ্গিতই মিলছিল কলেজ-কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। সম্প্রতি জানা যায়, ক্লাস ছাড়াও বেশ কিছু টাস্ক করে উঠতে পারেননি তিনি। সৌজন্যে সেই ‘লাইফ অফ পাই’। ব্রিটেন এবং আমেরিকায় এই ছবির প্রচারে ব্যস্ত থাকায় পড়াশুনোয় সময় দিতে পারেননি সূরজ। তার জেরেই তাঁকে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেন কলেজ-কর্তৃপক্ষ।
কলেজ-সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই ছিল সমস্ত টাস্ক জমা দেওয়ার শেষ দিন। অথচ সে দিন পর্যন্ত প্রায় কিছুই জমা দিতে পারেননি সূরজ। এতে কলেজ-কর্তৃপক্ষ একরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন, পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না সূরজকে। কিন্তু কলেজ-জীবনের একটা বছর নিজের ছবির মতোই অমূল্য তাঁর কাছে। তাই সেটা যাতে এ কারণে নষ্ট না হয়, সে জন্য একটা শেষ মরিয়া চেষ্টা করেন সূরজ। উদ্বিগ্ন হয়ে প্রায় ছ’বার দেখাও করেন কলেজের অধ্যক্ষ ভালসন থাম্পুর সঙ্গে। তখনই সূরজকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, ছাত্র হিসেবে কলেজ তাঁর কাছ থেকে ঠিক কী প্রত্যাশা করে। ব্যস, ওই অবধিই। এর বেশি কিছু লাভ হয়নি সূরজের। আবেদন-অনুরোধ বিফলে গেলেও শেষমেশ পরিশ্রমই সহায় হল। অনেকটা ঠিক সূরজের ছবির মতো। বৃহস্পতিবার শেষ মুহূর্তে পাঠ্যক্রমের নিয়ম অনুযায়ী প্রায় ৮টি প্রবন্ধ লিখে জমা দিয়েছেন তিনি। কলেজ-কর্তৃপক্ষও গ্রহণ করেছেন সূরজের কাজ। তা কিছুটা প্রথা ভেঙে হলেও। আপাতত তাই এড়ানো গিয়েছে ‘বহিষ্কারের’ সম্ভাবনা। |