অবৈধ কয়লা চোরাচালান বন্ধ করা-সহ নানা দাবিতে পোস্টার দিয়েছে যুব তৃণমূল। রামপুরহাট থানা থেকে শুরু করে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের প্রশাসনিক কার্যালয়--সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে ওই পোস্টার। আর তা নিয়েই শহর জুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন থানায় বা পুলিশের কার্যালয়ে কি কোনও রাজনৈতিক দলের শাখা সংগঠন এ ভাবে পোস্টার সাঁটিয়ে দিতে পারে? যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “দলের ছেলেরা এ রকম করে থাকলে ভালই করেছে।”
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বীরভূমের পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা অবশ্য বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ পোস্টার দিতেই পারেন। আমরা আমাদের মতো বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।” আর অবৈধ কয়লা চোরাচালান প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, “এ বিষয়ে পুলিশ যথেষ্ট তৎপর। আমরা অবৈধ কয়লা চোরাচালান রুখতে সব রকমেরই ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
ওই পোস্টারে অবৈধ কয়লা পাচার রোখার পাশাপাশি রাতে পুলিশি টহল বাড়ানো বা থানায় সাধারণ মানুষকে ডেকে হয়রানি না করার দাবিও জানানো হয়েছে। এ দিন বিতর্ক তৈরির পর বেলার দিকে বহু পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। পরে রামপুরহাট শহর যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়নাথ সাউ বলেন, “রাতের অন্ধকারে এলাকা দিয়ে ঝাড়খণ্ডের অবৈধ কয়লা চোরাচালান হচ্ছে। তাই পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার দাবি জানিয়েছি।” |
তাঁরই মতো থানায় পোস্টারি দিতে কোনও অন্যায় দেখছেন না সংগঠনের সভাপতি শুভদীপ মণ্ডলও। রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না।”
অন্য দিকে, আইএনটিইউসি-র ফুটপাত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক শাহজাদা হোসেন কিনু বলেন, “আমরা বহুদিন থেকেই এই অভিযোগ করে আসছি। তৃণমূলের দেওয়া পোস্টার আদতে আমাদের সেই অভিযোগকেই মেনে নিল।” আর সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জীব বর্মণের কটাক্ষ, “এই সরকারের আমলেই এলাকায় চুরি, ডাকাতি, অবৈধ কয়লা পাচারের মতো ঘটনা বেড়েই চলেছে। তৃণমূল চাপ দিয়ে পুলিশকেও অসহায় করে রেখেছে। নিজেরাই অপরাধে মদত দিয়ে এখন নাটক করছে।” |