শীতলখুচিতে রাজ্য সরকারের লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত উত্তরবঙ্গ লোক ও আদিবাসী সংস্কৃতি উৎসবে দলতন্ত্রের অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা। শীতলখুচির গোপীনাথ হাইস্কুল চত্বরে উৎসব ২৩-২৪ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার কোচবিহার জেলাশাসকের দফতরের সভাকক্ষে সাংবাদিক বৈঠক করে উৎসবের অনুষ্ঠান সূচি ঘোষণা করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা শীতলখুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্রে অতিথি হিসাবে জেলার তিন তৃণমূল বিধায়কের নাম থাকলেও জেলার বাসিন্দা দুই বাম সাংসদ বা কোনও বিধায়ক, সভাধিপতি কারও নাম রাখা হয়নি। এই ঘটনা নিয়েই দলতন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। এ দিন ওই আমন্ত্রণপত্র বিভিন্ন মহলে বিলির পরেই ওই অভিযোগ ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “বিষয়টি আধিকারিকরা দেখেছেন। তাঁরা যাঁদের সম্মতি পেয়েছেন, তাঁদের নাম ছাপা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের সকলকেই আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হবে।” কোচবিহারের সিপিএম সভাধিপতি দিলীপ বিশ্বাস বলেন, “যোগাযোগে সদিচ্ছা থাকলে সম্মতি সমস্যা নয়। অনুষ্ঠান হবে, তা সভাধিপতি জানবেন নাএটা গণতান্ত্রিক পথের বিরুদ্ধে হাঁটার নামান্তর।” ফরওয়ার্ড ব্লক জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেছেন, “এ সবই গণতন্ত্রের বদলে দলতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দৃষ্টান্ত।” কংগ্রেস বিধায়ক কেশব রায় বলেন, “তৃণমূল আমন্ত্রণ পত্র নিয়ে আমরা-ওরা চালাচ্ছে। সবাই সব জানেন।” ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে উৎসবের উদ্বোধন করবেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। ভূমি ও ভূমি সংস্কার প্রতিমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সভাপতিত্ব করবেন। আয়োজকরা জানান, উত্তরের ছয় জেলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। রাভা, আদিবাসী নৃত্যের পাশাপাশি মালদহে গম্ভীরা, কোচবিহারে ভাওয়াইয়া, উত্তর দিনাজপুরের খন গান থাকবে। সরকার দেড় লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। বনমন্ত্রী বলেন, “জেলাস্তরে হলেও উত্তরবঙ্গভিত্তিক উৎসব প্রথম।” |